বড়দিনের সকালে এক ধাক্কায় অনেকটা নামল তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার মরসুমের শীতলতম দিন দেখল তিলোত্তমা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ১ ডিগ্রি কম। ঝঞ্ঝার বাধা কাটতেই হু হু করে রাজ্যে ঢুকছে কনকনে উত্তুরে হাওয়া, আর তাতেই কাবু আট থেকে আশি।
শীতের আমেজে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ভিড়: ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছিল ময়দান ও আলিপুর চত্বর। সকাল হতেই সোয়েটার-জ্যাকেট-মাফলার বের করে বড়দিনের আনন্দ উপভোগ করতে পথে নামেন বহু মানুষ। চিড়িয়াখানা, ইকো পার্ক ও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে কেবল কলকাতাই নয়, পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে রীতিমতো কাঁপন ধরিয়েছে শীত। শ্রীনিকেতনে পারদ নেমেছে ৮.৫ ডিগ্রিতে, বীরভূম ও বাঁকুড়াতেও তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে।
আগামী কয়েকদিনের পূর্বাভাস: আবহাওয়াবিদদের মতে, এই পরিস্থিতি চলবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা আরও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি নামতে পারে। এর ফলে বর্ষবরণের মুখে হাড়কাঁপানো ঠান্ডার আরও একটি স্পেল পাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। সকালের দিকে ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমে।
উত্তরবঙ্গের হালহকিকত: পাহাড় থেকে সমতল, উত্তরবঙ্গও এখন কাঁপছে। দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ৪.৫ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছে। কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারেও জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। পর্যটকদের জন্য এই আবহাওয়া উপরি পাওনা হলেও, কুয়াশার দাপটে যান চলাচলে সমস্যা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।