কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশার সুযোগ নিয়ে এক তরুণীকে চলন্ত গাড়ির ভিতর গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল ফরিদাবাদে। পাশবিক নির্যাতনের পর ওই তরুণীকে চলন্ত ভ্যান থেকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেয় অভিযুক্তরা। এই ঘটনায় নির্যাতিতার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তাঁর শরীরে একাধিক গুরুতর চোট রয়েছে এবং মুখে ও শরীরে ১২টি সেলাই পড়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’-র রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোররাতের মধ্যে এই নারকীয় ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রাম-ফরিদাবাদ রোডের নির্জন এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ মায়ের সঙ্গে সামান্য মনোমালিন্যের জেরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। বোনকে কথা দিয়েছিলেন দু-তিন ঘণ্টার মধ্যে ফিরে আসবেন। কিন্তু ফিরতে দেরি হওয়ায় কোনও গণপরিবহন না পেয়ে শেষমেশ একটি ভ্যানে লিফট নেন তিনি।
অভিযোগ, ভ্যানে ওঠার পরেই তাঁর গন্তব্যে না গিয়ে দুই যুবক গাড়িটিকে গুরুগ্রাম-ফরিদাবাদ রোডের নির্জনতার দিকে ঘুরিয়ে দেয়। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ভ্যানের ভিতর আটকে রেখে চলে অকথ্য নির্যাতন ও গণধর্ষণ। ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডার কারণে রাস্তাঘাট জনমানবহীন থাকায় নির্যাতিতা কারও সাহায্যও পাননি। এরপর মঙ্গলবার রাত তিনটে নাগাদ এসজিএম নগরের রাজা চক এলাকার একটি হোটেলের সামনে তাঁকে চলন্ত গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা।
রক্তাক্ত অবস্থায় কোনওরকমে বোনকে ফোন করে ঘটনার কথা জানান ওই তরুণী। পরিবার তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদাবাদের স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে কোতয়ালি থানায় মামলা রুজু হয়েছে। ফরিদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চ ইতিমধ্যেই দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন ঘটনার পিছনে কোনও বড় চক্র কাজ করছে কি না।