প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেন নতুন মেট্রো, কিন্তু পুরোনো সমস্যাগুলো রয়েই গেল

শুক্রবার কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিনটি নতুন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করলেন, যা নিঃসন্দেহে শহরের গণপরিবহণ ব্যবস্থায় একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। কিন্তু এই উজ্জ্বল সাফল্যের আড়ালে কিছু পুরোনো সমস্যাও রয়ে গেছে, যা সাধারণ মানুষের প্রতিদিনের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে।

ক্ষুদিরাম স্টেশনের দুর্দশা

দক্ষিণ কলকাতার শহীদ ক্ষুদিরাম মেট্রো স্টেশন, যা ২০১০ সালে চালু হয়েছিল, আজও তার পুরোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পায়নি। এই স্টেশনের ছাদ দিয়ে বৃষ্টির জল পড়ে, আর সেই জল ধরে রাখার জন্য ৬টি বড় ডাস্টবিন ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এই ডাস্টবিনগুলির পাশ দিয়ে যাতায়াত করেন, কিন্তু এই সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান এখনো হয়নি।

বউবাজারের যন্ত্রণা ও যানজট

দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো প্রকল্পের কাজ বারবার আটকে গেছে। বউবাজারে বাড়ি ভেঙে যাওয়া, শতাধিক পরিবারের গৃহহীন হওয়া এবং রাজনৈতিক দোষারোপের খেলায় প্রকল্পের কাজ আরও পিছিয়ে গেছে।

নতুন মেট্রো রুট চালু হলেও শহরের সবচেয়ে বড় যানজটের সমস্যা, বিশেষ করে চিংড়িঘাটা ক্রসিংয়ে, এখনও সমাধান হয়নি। আইটি হাব সেক্টর ভি পর্যন্ত সহজ যোগাযোগ তৈরি হতে আরও কয়েক বছর সময় লাগবে। ফলে নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি কমছে না।

অসমাপ্ত স্টেশন এবং ফাটল

প্রধানমন্ত্রী যে তিনটি রুটের উদ্বোধন করেছেন, তার কয়েকটি স্টেশনের নির্মাণকাজ এখনও শেষ হয়নি। যেমন, বেলেঘাটা থেকে জয় হিন্দ বিমানবন্দর পর্যন্ত কমলা লাইনের বেশ কিছু স্টেশন অসম্পূর্ণ। সবুজ লাইনেরও কয়েকটি স্টেশন তৈরি হয়নি। এমনকি, নীল ও কমলা লাইনের সংযোগকারী কবি সুভাষ টার্মিনাসের একটি স্তম্ভে ফাটল ধরায় সেটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।

যাত্রীরা বলছেন, “নতুন মেট্রো চালু হওয়ায় সুবিধা বাড়ল ঠিকই, কিন্তু স্টেশনের ভেতরের অব্যবস্থা এবং প্রতিদিনের যানজট এখনো আগের মতোই রয়ে গেছে।” অর্থাৎ, কলকাতার মেট্রো ব্যবস্থার পরিধি বাড়লেও তার পুরোনো সমস্যাগুলির স্থায়ী সমাধান এখনো অধরা।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy