নবম আন্তর্জাতিক ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপ ‘ইন্ডিয়ান চ্যালেঞ্জার্স কাপ ২০২৫’-এ বড় সাফল্য অর্জন করল পূর্ব বর্ধমানের ‘দ্য মার্শাল আর্টস অ্যাকাডেমি’। কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি নেপাল, ভুটান, মালয়েশিয়া সহ অন্যান্য দেশের প্রায় ৭০০০ প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে বর্ধমানের এই অ্যাকাডেমির ৪৩ জন প্রতিযোগী মোট ৫১টি পদক জয় করে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে।
এই বিশাল সাফল্যের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য হলো অয়ন্তিকা সাহার জোড়া স্বর্ণপদক জয়। এছাড়াও, অ্যাকাডেমির পাঁচজন প্রতিযোগী একটি করে স্বর্ণপদক, ১২টি রৌপ্য পদক এবং ৩২টি ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেছে।
খেলাধুলা ও আত্মরক্ষার গুরুত্ব
‘দ্য মার্শাল আর্টস অ্যাকাডেমি’-র কোচ রেনসি দেবাশীষ কুমার মন্ডল তাঁর শিষ্যদের এই সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “ভারতবর্ষের পাশাপাশি নেপাল, ভুটান, মালয়েশিয়া সহ অন্যান্য দেশ থেকেও প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছিল। প্রায় ৭০০০ অংশগ্রহণকারীর মধ্যে দ্য মার্শাল আর্টস অ্যাকাডেমির প্রতিযোগীরা মোট ৫১টি পদক পেয়েছে।”
ক্যারাটে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দেবাশীষ মণ্ডল বলেন, “বর্তমান সময়ে আমরা সবাই মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছি, বাচ্চারাও আসক্ত। এর ফলে অনেক সময় বাচ্চারা শারীরিকভাবে ঠিকমতো বিকশিত হচ্ছে না, মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছে এবং নানা রকম সমস্যা হচ্ছে। বাচ্চারা যদি ক্যারাটে, মার্শাল আর্টস বা যেকোনো খেলার সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং জীবনে একটি লক্ষ্য থাকবে। পাশাপাশি, এটি আত্মরক্ষার জন্যও অত্যন্ত ভালো।”
‘দ্য মার্শাল আর্টস অ্যাকাডেমি’-র এই সাফল্য কেবল বর্ধমানের নয়, সমগ্র বাংলার জন্য গর্বের বিষয়। এটি প্রমাণ করে যে সঠিক প্রশিক্ষণ, কঠোর পরিশ্রম এবং আত্মবিশ্বাস থাকলে যেকোনো আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের মেলে ধরা সম্ভব। এই ধরনের সাফল্য তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলা এবং আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণে উৎসাহিত করবে বলে আশা করা যায়।