দিল্লিতে একখণ্ড ‘বঙ্গভূমি’! বাঙালি পাড়ার পুজো মণ্ডপে প্রধানমন্ত্রী, গর্জে উঠল উলুধ্বনি, কীসের ইঙ্গিত দিলেন মোদি?

দেশজুড়ে যখন দুর্গাপূজার নবমী তিথি চলছে, তখন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর চিত্তরঞ্জন পার্কের (CR Park) দুর্গাপূজা মণ্ডপে দেবী দর্শনে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সেখানে আরতি ও প্রার্থনা করেন।

‘বঙ্গভূমি’ বলেই পরিচিত দিল্লির সিআর পার্কের এই পুজো প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে বিপুল সংখ্যক ভিড় জমেছিল। তাঁর আরতির সময় মণ্ডপে উপস্থিত মহিলারা উলুধ্বনি দিতে থাকেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা এবং স্থানীয় বিজেপি সাংসদ বাঁশরী স্বরাজ। দুর্গাপুজো মণ্ডপ সংলগ্ন কালী বাড়িতেও যান প্রধানমন্ত্রী।

রাজনৈতিক সংযোগ এবং বিতর্ক
পুজোর ঠিক কয়েক মাস আগে থেকেই দিল্লিতে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে দিল্লিতে কাজে যাওয়া শ্রমিকদের ‘বাংলাদেশি’ বলে ‘হয়রান’ করেছে রাজধানীর পুলিশ। বাংলা ভাষায় কথা বলার কারণেই তাঁদের দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

এই অভিযোগে অন্তঃসত্ত্বা সোনালী বিবি-সহ অনেক শ্রমিককে গ্রেফতার করে বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে দ্রুত তাঁদের ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে, বাংলা ভাষাকে অপমানের অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন।

বাংলার ভোট, বাঙালির মন জয়
রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ধরনের নানা ঘটনার প্রভাব পড়তে পারে বলে বিজেপির আশঙ্কা রয়েছে।

বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ মনে করছেন, বাংলার ভোটকে মাথায় রেখে রাজধানীর এই চিত্তরঞ্জন পার্কের বাঙালি পাড়ার দুর্গাপূজোকে জনসংযোগের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানকার কালী মন্দির দর্শন ও দুর্গাপুজোর মণ্ডপে যাওয়ার নেপথ্যে একটি সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কলকাতায় এসে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্বোধন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy