দার্জিলিঙে তুষারপাতের অ্যালার্ট! ৪ ডিগ্রিতে কাঁপছে পাহাড়, সমতলেও কি বরফ পড়ার জোগাড়?

২০২৫ সালের বিদায়বেলায় গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে কার্যত প্রকৃতির তাণ্ডব শুরু হয়েছে। উত্তুরে হাওয়ার প্রবল দাপটে রাজ্য এখন হিমঘর। বছরের শেষ দিনে পাহাড় থেকে সমতল—সর্বত্রই পারদ পতনের নয়া রেকর্ড তৈরি হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর পাহাড়ের রানি দার্জিলিঙে তুষারপাতের (Snowfall) পূর্বাভাস জারি করায় পর্যটকদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়লেও, হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় জবুথবু সাধারণ মানুষ।

বুধবার সকালে দার্জিলিঙের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে মাত্র ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দার্জিলিঙে হালকা বৃষ্টি ও তুষারপাত হতে পারে। এর পাশাপাশি কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে ঘন কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারে নেমে আসায় যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রা আরও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পিছিয়ে নেই দক্ষিণবঙ্গও। বীরভূমের শ্রীনিকেতন আজ দক্ষিণবঙ্গের শীতলতম স্থান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যেখানে পারদ নেমেছে ৬.৫ ডিগ্রিতে। এছাড়া কল্যাণী (৭°), আসাসন্সোল (৭.৮°) এবং বাঁকুড়া-বর্ধমানে (৮°) কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। রাজধানী কলকাতা আজ মরশুমের শীতলতম দিন প্রত্যক্ষ করল। আলিপুরে ১১ ডিগ্রি হলেও দমদমে পারদ নেমেছে ১০ ডিগ্রিতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে মেদিনীপুর— সর্বত্রই ঘন কুয়াশার দাপট বজায় থাকবে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, আগামী ২৪ ঘণ্টা পরিস্থিতি এমনই থাকবে। তবে ১ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রার সামান্য ঊর্ধ্বগতি দেখা দিলেও শীতের কামড় এখনই কমছে না। একদিকে যখন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে রাস্তাঘাট, অন্যদিকে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় বাড়ছে তুষারপাতের আশায়। বর্ষবরণের রাতে মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূমের মতো জেলাগুলোতেও দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এক হিমাঙ্ক ছোঁয়া অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই ২০২৬-কে স্বাগত জানাতে চলেছে বাংলা।

Related Posts

© 2026 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy