ট্যারিফ-হুমকি দিয়েই নাকি ভারত-পাক সংঘর্ষ থামিয়েছেন, ‘যুদ্ধ বিরতি’র কৃতিত্ব নিতে ব্যস্ত ট্রাম্প

ভারতের ওপর আমেরিকার চাপানো ৫০ শতাংশ শুল্ক আজ, ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। এর ফলে ভারতের রফতানি খাত বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই অর্থনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির কৃতিত্ব নিতে ব্যস্ত।

বুধবার হোয়াইট হাউসে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্প আবারও দাবি করেন, তার হুমকির কারণেই নাকি ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধ বন্ধ করেছে।

‘আমি হুমকি দিয়েছিলাম’
ট্রাম্প বলেন, “আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মতো একজন অসাধারণ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছিলাম… আমি বলেছি আপনাদের এবং পাকিস্তানের মধ্যে কী ঘটছে… ঘৃণা অনেক বেশি। এটি অনেক দিন ধরেই চলছে…। আগামী কাল আমাকে ফোন করুন। আমরা আপনাদের সঙ্গে কোনও চুক্তি করব না, নয়তো এত বেশি শুল্ক আরোপ করব যে মাথা ঘুরে যাবে।”

ট্রাম্পের দাবি, এই হুমকির পরই দুই দেশ সীমান্তে সংঘাত বন্ধ করে। তার এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন তার সরকারের চাপানো অতিরিক্ত শুল্কের কারণে ভারত অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

শুল্কের প্রভাব: ভারতের রফতানি খাতে বড় ধাক্কা
আমেরিকা রাশিয়া থেকে তেল এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য ভারতের ওপর এই অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছে। এর ফলে ভারতীয় পণ্য আমেরিকায় অনেক বেশি দামে বিক্রি হবে এবং প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ৫০% শুল্ক আরোপের কারণে ভারতের প্রায় ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রফতানি প্রভাবিত হবে। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রকের মতে, বস্ত্র, রত্ন, গয়না, চিংড়ি, চামড়া এবং যন্ত্রপাতির মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে।

তবে ভারত সরকার এই সমস্যার সমাধানে বিকল্প বাজার খোঁজা শুরু করেছে বলে জানিয়েছে। যদিও এই ধাক্কা দেশের কর্মসংস্থান এবং অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy