কয়েকশো কোটি টাকার সাইবার জালিয়াতির মামলায় মঙ্গলবার রাতে শিলিগুড়ি থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ধৃতকে জলপাইগুড়ি আদালতে তুলে ২৪ ঘণ্টার ট্রানজিট রিমান্ডে রাতেই কলকাতায় নিয়ে গেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ধৃতের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি, মোবাইল ফোন এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইডি সূত্রে খবর, ধৃতের নাম সনুকুমার ঠাকুর। তিনি জলপাইগুড়ি জেলার শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারেটের নিউ জলপাইগুড়ি থানা এলাকার গঙ্গানগর কলোনীর বাসিন্দা। ধৃতের বিরুদ্ধে কয়েকশো কোটি টাকার সাইবার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।
তল্লাশি অভিযান ও গ্রেফতার
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, ওই প্রতারণা মামলায় আরও ১৯ জন জড়িত আছে। তাদের খোঁজে মঙ্গলবার সকাল থেকেই শিলিগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালান ইডির আধিকারিকরা। তার মধ্যে অভিযুক্ত সনুকুমার ঠাকুরের বাড়িও ছিল। সকাল থেকে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি।
পরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সনুকুমার ঠাকুরকে জলপাইগুড়ি আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে তোলা হয়। এরপর রাত এগারোটা নাগাদ জলপাইগুড়ি আদালত থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে ওই যুবককে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রতারণার পদ্ধতি
ইডি সূত্রে আরও জানা গেছে, সনুকুমার ঠাকুর-সহ ওই চক্রটি অনলাইন জালিয়াতি করে অর্থ উপার্জন করত। ভাড়া করা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এই আর্থিক লেনদেন করা হত। ভাড়া করা ওইসব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের কমিশন দিয়ে কাজটি করা হতো বলে জানা গিয়েছে।
এই গ্রেফতারির ফলে সাইবার প্রতারণা চক্রের একটি বড় অংশ উন্মোচিত হলো বলে মনে করা হচ্ছে। ইডি এখন এই চক্রের বাকি ১৯ জন সদস্যকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে, যারা এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত।