ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) বরাবর ফের একবার বড় ধরনের অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। সোমবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF) জানিয়েছে যে, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ৬৯টি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় কমপক্ষে ১২০ জন জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে এবং তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
BSF কাশ্মীর ফ্রন্টিয়ারের প্রধান অশোক যাদব এই সংবেদনশীল তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, পাকিস্তান যদি নতুন করে কোনো জঙ্গি হামলার চেষ্টা করে, তবে ভারত দ্রুত পাল্টা জবাব দেবে এবং ফের ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করা হবে।
অপারেশন সিঁদুরের প্রভাব ও পাকিস্তানের কৌশল: চলতি বছরের এপ্রিল মাসে পহেলগাম হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করেছিল। সেই হামলায় পাকিস্তানের বেশ কিছু জঙ্গি ঘাঁটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
IG অশোক যাদব জানান, অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তান তাদের কিছু সেনা লঞ্চ প্যাড সীমান্ত থেকে সরিয়ে দেশের ভিতরের দিকে নিয়ে যায়। এর কারণ হলো সেগুলিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং BSF-এর ফায়ারিং রেঞ্জের বাইরে রাখা। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, অবস্থান পরিবর্তন হওয়া সত্ত্বেও সেই লঞ্চ প্যাডগুলি বর্তমানেও ভারতের কড়া নজরদারিতে রয়েছে।
অনুপ্রবেশের চেষ্টা বানচাল: BSF-এর তরফে দাবি করা হয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর থেকে কাশ্মীর সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা অনেক কমে গিয়েছে। চলতি বছর অনুপ্রবেশের মোট চারটি চেষ্টা রুখে দিয়েছে BSF, যাতে ১৩ জন জঙ্গি জড়িত ছিল। এর মধ্যে ৮ জনকে সেনা খতম করেছে এবং ৫ জন পালিয়ে গিয়েছে।
BSF আরও জানিয়েছে যে, জঙ্গিরা এখন নতুন পথে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে, কিন্তু সেনা ও BSF সেই সব পথেও কড়া নজর রাখছে।
কাশ্মীরের ভিতরে BSF-এর ১৩ কোম্পানি সেনা এবং পুলিশের যৌথ দল নজরদারি চালাচ্ছে। IG যাদব জানিয়েছেন, জঙ্গিরা তাদের সমস্ত কার্যকলাপ নীরবে করার চেষ্টা করছে, কিন্তু BSF-এর কড়া নজরদারিতে তা সফল হচ্ছে না। এছাড়াও, পহেলগামের ঘটনার পর উপত্যকায় পর্যটকদের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। গুলমার্গের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় BSF-এর বিশেষ টিম মোতায়েন করা হয়েছে।