সাত বছর পর চিন সফরে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার তিনি জাপানের টোকিও থেকে সরাসরি চিনের তিয়ানজিন শহরে পৌঁছন। তার এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হল শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়া। তবে এই সম্মেলন ছাড়াও, তিনি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করবেন।
জাপান সফর সেরে চিনে
তিয়ানজিনে আসার আগে মোদী জাপানের রাজধানী টোকিওতে দু’দিনের সফরে ছিলেন। সেখানে তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে ভারত-জাপান দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
জাপান সফরে মোদী চারটি গুরুত্বপূর্ণ কারখানা ঘুরে দেখেন। এর মধ্যে একটিতে ই১০ শিনকানসেন বুলেট ট্রেনের প্রোটোটাইপ তৈরি হচ্ছে। এই ধরনের ট্রেনই ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন প্রকল্প, আহমেদাবাদ-মুম্বই হাই স্পিড রেল করিডোরে চলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী ইন্ডিয়া-জাপান বিজনেস ফোরামের একটি মিটিংয়েও অংশ নেন। সেখানে তিনি দুই দেশের মধ্যে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “জাপানের প্রযুক্তি এবং ভারতের প্রতিভা একত্রিত হলে আমাদের দুই দেশই এই শতকের প্রযুক্তি বিপ্লবের নেতৃত্ব দেবে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর পরপর জাপান ও চিন সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে বর্তমানে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের মধ্যে কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় তিয়ানজিনে পৌঁছনোর পর সেখানকার প্রবাসী ভারতীয়রা প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।