স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অ্যাকাউন্টে আচমকা বিশাল অঙ্কের টাকা জমা হওয়া এবং তা দ্রুত তুলে নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানা এলাকায়। ঘটনার তদন্তে নেমে কাঁকসা থানার পুলিশ মুম্বই ও উত্তরপ্রদেশ থেকে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে।
জানা গেছে, গত ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর এই দু’দিন অসৎ উপায়ে হাতিয়ে নেওয়া ৩৩ লক্ষ টাকা কাঁকসার ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অ্যাকাউন্টে জমা করা হয় এবং লেনদেনের পরই তা তুলে নেওয়া হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা এই অস্বাভাবিক লেনদেন দেখে সন্দেহ হওয়ায় কাঁকসা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
হোটেল থেকেই গ্রেফতার দুই যুবক
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মুম্বইয়ের বাসিন্দা শহিদ নওয়াআলি মিঠাইওয়ালা এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা প্রদীপ কুমারকে গ্রেফতার করে। সূত্রের খবর, সোমবার রাতে কাঁকসা থানা এলাকার একটি হোটেল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃত দুই যুবক প্রায় ১৫ দিন ধরে কাঁকসার হোটেলে ছিল।
জানা যাচ্ছে, এই দুই যুবকের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হওয়ায় হোটেল মালিকই কাঁকসা থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান।
লেনদেনের অঙ্ক আরও বেশি, যোগসূত্র দুবাই
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুর্গাপুরের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা জানিয়েছেন, ‘কোন সংস্থা বা ব্যক্তির থেকে ওই দুষ্কৃতীরা টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, লেনদেনের আসল অঙ্ক ৩৩ লাখের চেয়েও বেশি হতে পারে। সূত্রের খবর, এই টাকা দুবাই থেকে হাতিয়েছিল ধৃতরা। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো: কোন উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অ্যাকাউন্টে সেই অর্থ ফেলা হলো? পুলিশ সেই দিকটিও খতিয়ে দেখছে।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা আরও চারজনের নাম পেয়েছেন এবং তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে এই ধরনের টাকা লেনদেনের পিছনে কীসের বড় চক্র কাজ করছে বলে আপনার মনে হয়?