পাওনাদারদের ঋণের বোঝা সইতে না পেরে হুগলির চাঁপদানি এলাকায় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। সেখানে স্বামী প্রথমে স্ত্রী ও আট বছরের মেয়েকে বিষ খাইয়ে খুন করে নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক অনুমান। মৃত ওই ব্যক্তির নাম মহঃ কেয়ামুদ্দিন (৪০), স্ত্রী মমতাজ পারভিন (৩২) ও মেয়ে আফসা (৮)।
🚨 ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার ৩ জনের মৃতদেহ
ঘটনাটি ঘটেছে চাঁপদানির এ্যাঙ্গাস এলাকার চন্দনপাড়ায়। কেয়ামুদ্দিন ব্যারাকপুর আদালতের এক মুহুরির কাছে কাজ করতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজারে তাঁর অনেক টাকা ধার দেনা হয়েছিল। এই ঋণের বোঝা কমাতে তিনি বাবার কাছে জমি বিক্রির কথাও বলেছিলেন।
উদ্ধার: আজ সকালে ঘরের দরজা ভেঙে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
ময়নাতদন্ত: মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক অনুমান: পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ঋণের চাপে কেয়ামুদ্দিন স্ত্রী ও মেয়েকে বিষ খাইয়ে নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
✍️ দেওয়ালে লেখা সেই ৭ জনের নাম
এই মর্মান্তিক ঘটনার পর আরও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। যে ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই ঘরের দেওয়ালে কেয়ামুদ্দিন নিজের পরিবারেরই সাতজনের নাম লিখে গিয়েছেন। তবে এই সাতজন কে, বা কী কারণে তাদের নাম লেখা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
পুলিশ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে। মৃত কেয়ামুদ্দিনের বাবা ও মা দুজনেই পক্ষাঘাতে পঙ্গু। এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।