মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি গ্রামের এক ১৪ বছর বয়সী কিশোর জিশান শেখ একটি বিরল রোগে আক্রান্ত। তার ওজন ১৪০ কেজি এবং সে দিনে তিন কেজি চালের ভাত খায়। ছেলের এই অস্বাভাবিক খিদে মেটাতে এবং তার চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে গিয়ে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে।
জিশান শেখের বয়স মাত্র ১৪ বছর, কিন্তু তার ওজন ১৪০ কেজি।প্রতিদিন তার জন্য প্রায় তিন কেজি চালের ভাত লাগে। রুটি হলে একবারে তিন ডজন রুটি প্রয়োজন হয়।খাবারের তালিকায় মাছ, মাংস বা ডিম থাকা তার জন্য বাধ্যতামূলক, না হলে বাড়িতে অশান্তি হয়।শরীরের ওজনের কারণে সে ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারে না এবং শুয়ে-বসেই তার বেশিরভাগ সময় কাটে।
জিশানের বাবা মুনসাদ আলি একজন কাঠ মিলের দিনমজুর। তিনি বলেন, “আমি সামান্য উপার্জন করি। এই টাকা দিয়ে সংসার চালানোই কঠিন, সেখানে ছেলের খাবার আর চিকিৎসার খরচ কীভাবে চালাব তা ভেবে পাই না।” চিকিৎসকরা তাকে ব্যায়াম ও হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন, কিন্তু জিশান কোনো কথা শোনে না। পর্যাপ্ত খাবার না পেলে সে খুবই অশান্তি করে।
জিশানের মা পিয়ারুন বিবি নিজেও হৃদরোগী। তিনি বলেন, “স্বামী আমার চিকিৎসা এবং ছেলের চিকিৎসার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। সরকারের কাছে আমার আবেদন, যদি কোনোভাবে আমাদের সাহায্য করা হয়।” জিশানের এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি তার তিন বছর বয়স থেকেই শুরু হয়েছিল। নয় বছর বয়স থেকে অনেক চিকিৎসা করা হলেও কোনো লাভ হয়নি।
জিশান নিজে জানিয়েছে, তার প্রিয় খাবার বিরিয়ানি ও মাংস। সে একবারে তিন কেজি মাংস ও দুই কেজি চালের বিরিয়ানি খেতে পারে।