রাজস্থানের ভোটার তালিকা থেকে ২৪ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (EC) নির্দেশে ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’ (Special Intensive Revision – SIR) প্রক্রিয়ার অধীনে এই বিপুল সংখ্যক ভোটারের তথ্য ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মেলানো সম্ভব হয়নি।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) নবীন মহাজন জানিয়েছেন, ডিজিটাইজেশনের পরে বিভাগ প্রতিটি ভোটারের রেকর্ড ২০০২ সালের এসআইআর তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখছে যে তাদের বাবা-মায়ের নাম পূর্ববর্তী তালিকায় লিপিবদ্ধ আছে কিনা।
⚠️ ২৪ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ পড়ার ঝুঁকি
২৮ নভেম্বর পর্যন্ত এসআইআর-এর তথ্য অনুসারে, মোট ৪.৫৯ কোটি ভোটারের মধ্যে ৪,৩৪,৭৭,৮০৮ জনের তথ্য সফলভাবে ২০০২ সালের তালিকার সঙ্গে মিলেছে। এই ভোটারদের কোনও অতিরিক্ত নথি জমা দিতে হবে না।
তবে, ২৪,৪১,৬৭৩ জন ভোটারের নাম এখনও ২০০২ সালের এসআইআর তালিকায় ম্যাপ করা যায়নি। ডিজিটাইজেশনের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
জেলাভিত্তিক সমস্যা:
জয়পুর: ম্যাপিং করা যায়নি এমন ভোটারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
অন্যান্য প্রধান জেলা: যোধপুর (১,৪৭,০১৬ জন), ভিলওয়ারা (১,২৯,৫৭৪ জন), সিকার (১,১৫,৭১৩ জন), বিকানের (১,১১,৭৪৪ জন) এবং উদয়পুর (১,০৩,২৮৬ জন) জেলায় সমস্যা প্রকট।
📅 গুরুত্বপূর্ণ সময়সীমা ও করণীয়
যেসব ভোটারের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাচ্ছে না, ৪ ডিসেম্বর প্রথম খসড়া প্রকাশের পর তাদের নোটিশ পাঠানো হবে।
নোটিশপ্রাপ্ত ভোটারদের করণীয়: তাদের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য নির্দিষ্ট নথি জমা দিতে হবে।
ফলাফল: নথি জমা দিতে ব্যর্থ হলে বা যোগ্যতা প্রমাণ না করতে পারলে তাদের নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে মুছে ফেলা হবে।
দাবি ও আপত্তি: খসড়া তালিকা প্রকাশের পর রাজনৈতিক দল এবং বুথ-স্তরের এজেন্টরা দাবি ও আপত্তি জানানোর জন্য এক মাস সময় পাবেন।
চূড়ান্ত তালিকা: সমস্ত মামলা নিষ্পত্তির পরে ২০২৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
বিএলও-রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ করছেন এবং সেই তথ্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আপলোড করছেন, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২০০২ সালের তালিকার সঙ্গে মেলানো হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো ভোটার তালিকা থেকে জাল বা ডুপ্লিকেট নাম বাদ দিয়ে তালিকাটিকে আরও ত্রুটিমুক্ত করা।