বিতর্কিত এবং কট্টরপন্থী ধর্মীয় নেতা জাকির নায়েককে (Zakir Naik) আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আতিথ্য দিতে চলেছে মহম্মদ ইউনূসের বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, এই ‘পলাতক’ ধর্মীয় নেতার জন্য সে দেশে রেড কার্পেট অভ্যর্থনার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে খবর।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA)।
🇮🇳 ভারতের কড়া বার্তা: “বিচক্ষণতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিক বাংলাদেশ”
আজ এক বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল স্পষ্ট জানিয়েছেন, জাকির নায়েক ভারতে বহু কাঙ্ক্ষিত এবং পলাতক।
তিনি বলেন:
“জাকির নায়েক পলাতক। ভারতে ওয়ান্টেড। তাই আশা করব বিচক্ষণতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে তাঁকে [জাকির নায়েককে] ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে।”
🇵🇰 সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়ার অভিযোগ
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের এই মন্তব্যের নেপথ্যে জাকির নায়েকের পূর্ববর্তী কার্যকলাপ রয়েছে। ভারতে এই ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
গত বছরও ভারতে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ এই নেতা পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন এবং সেখানেও তাঁকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, লস্কর জঙ্গি মুজাম্মেল ইকবাল হাশমি-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক জঙ্গির সঙ্গে সে দেশে আলাদা করে বৈঠক করেন এই ধর্মগুরু।
geopolitics 🌍 বাড়ছে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ
হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আই এস আই-এর (ISI) মদতে বাংলাদেশে ইসলামিক সেনা গঠন এবং পাক সেনা আধিকারিকদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে জাকির নায়েকের মতো কট্টরপন্থীর সফর ঘিরে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই সফরের নেপথ্যে পাকিস্তানের ইন্ধন থাকতে পারে, যার মাধ্যমে মৌলবাদকে অস্ত্র করে ভারতে অস্থিরতা ছড়ানোর ছক কষা হচ্ছে।
তবে বিদেশ মন্ত্রক জাকিরকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বললেও, নবগঠিত বাংলাদেশ সরকার এই দাবি মানবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়ে গেছে।