আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন রাজ্যে হিংসা দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ (Zero Tolerance) নীতি গ্রহণ করেছে। রবিবার কানপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar) এই কঠোর বার্তা দেন। তিনি ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
জ্ঞানেশ কুমার জোর দিয়ে বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে শাসক ও বিরোধী উভয় দলই সমান:
“নির্বাচন কমিশনের কাছে কেউ শাসক বা বিরোধী নয়, সবাই নিরপেক্ষ। নির্বাচন কমিশন হিংসার প্রতি কোনও সহনশীলতা দেখাবে না।”
তিনি বিহারের জনগণকে নির্বাচনে অংশ নিতে এবং শান্তিপূর্ণভাবে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আহ্বান জানান।
কড়া পদক্ষেপ কমিশনের
নির্বাচন কমিশনের এই কড়া মন্তব্যটি মাকামা কেন্দ্রের জেডিইউ প্রার্থী অনন্ত যাদবের গ্রেফতারের কয়েক ঘণ্টা পরেই আসে। দুলরচন্দ যাদব জন সুরজ প্রার্থী পীযূষ প্রিয়দর্শীর প্রচারকের কাজ করছিলেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে:
নির্বাচন কমিশন মাকামা বিধানসভা কেন্দ্রের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বদলি করার নির্দেশ দিয়েছে।
একই সঙ্গে বিহারের ডিজিপি পুলিশ (DGP)-এর কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে।
জ্ঞানেশ কুমার উল্লেখ করেন যে, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে কমিশন সমস্ত রিটার্নিং অফিসার, পর্যবেক্ষক, জেলা কালেক্টর, এসপি, এসএসপি এবং পুলিশ পর্যবেক্ষকদের প্রস্তুত রেখেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বিহার নির্বাচন শুধু দেশের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের কাছে স্বচ্ছ ও সফলতার উদাহরণ হবে।
আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচন দুটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে — ৬ নভেম্বর এবং ১১ নভেম্বর। ভোট গণনা হবে ১৪ নভেম্বর।