বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভার সংখ্যা কমানোর খবরে রাজ্য বিজেপির অন্দরে তীব্র গুঞ্জন শুরু হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে, মোদীর জন্য বরাদ্দ করা দশটি জনসভার মধ্যে আপাতত একটি বাতিল করা হয়েছে, এবং আরও কিছু সভা কাটছাঁট করা হতে পারে।
জানা গেছে, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নদিয়া জেলার রানাঘাটে মোদীর একটি জনসভা হওয়ার কথা ছিল, যা বাতিল করা হয়েছে। দিল্লি থেকে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনের আগেই পরাজয়ের আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে।
কেন এই আশঙ্কা?
বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায় দীর্ঘ দিন ধরেই দলের এই চূড়ান্ত পরাজয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছেন। অন্যদিকে, আরও এক প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ এখন দলেরই অন্দরমহলে কার্যত অপ্রাসঙ্গিক। তিনি মোদীর সভায় আমন্ত্রণ পান না বলেও জানা গেছে।
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি কটাক্ষ করে বলেছেন, “নির্বাচনে বিজেপি শূন্য হয়ে যাবে।” শুধু তাই নয়, সিপিআইএমও অভিযোগ করছে যে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে ‘সেটিং’ হয়েছে। উল্লেখ্য, বিজেপি নেতা তথাগত রায়ও সামাজিক মাধ্যমে এই ধরনের ‘সেটিং’-এর ইঙ্গিত দিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল চরমে পৌঁছেছে। এই অভ্যন্তরীণ বিভাজন এবং মোদীর সভার সংখ্যা কমানোর খবর, সব মিলিয়ে বিজেপি কর্মীদের মনোবল তলানিতে ঠেকেছে। এর ফলে, রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মীদের মধ্যেও একধরনের অনিশ্চয়তা ও পরাজয়ের ভয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।