বাংলায় অনুপ্রবেশই প্রধান হাতিয়ার? শাহের নিশানায় মমতা, CAA-নিয়ে তুলোধনা

তিন দিনের রাজ্য সফরে কলকাতায় পা দিয়েই চড়া সুরে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে পশ্চিমবঙ্গ এখন অনুপ্রবেশকারীদের ‘সেফ প্যাসেজ’ বা নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। শাহের দাবি, এই অনুপ্রবেশের প্রভাব শুধু বাংলার জনবিন্যাসেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং তা দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তার জন্য বড়সড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিজেপির ক্রমবর্ধমান ভোট শতাংশের খতিয়ান তুলে ধরে শাহ বলেন, “২০১৪ সাল থেকে ২০২৪—মানুষ আমাদের প্রতি আস্থা বাড়াচ্ছেন। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে ২০২৬ সালে বিপুল জনমত নিয়ে বাংলায় বিজেপির সরকার গঠিত হওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা।” তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানান, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে।

অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কড়া বার্তা দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে সীমান্তে একটি পাখিও গলতে পারবে না। যারা অবৈধভাবে ঢুকেছে, তাদের চিহ্নিত করে আইন মেনে দেশের বাইরে পাঠানো হবে।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, সীমান্ত সুরক্ষার জন্য কেন কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জমি দিচ্ছে না রাজ্য সরকার? দেশের অন্যান্য সীমান্তরাজ্য সহযোগিতা করলেও পশ্চিমবঙ্গ কেন ব্যতিক্রম, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। শাহের সাফ কথা, রাজ্য সরকারের ‘অনুপ্রবেশ-সহনশীল’ নীতির কারণেই এই সমস্যা ভয়ংকর আকার নিয়েছে। সিএএ (CAA) নিয়ে রাজ্যের বিরোধিতাকে ‘দ্বিচারিতা’ বলে কটাক্ষ করে তিনি জানান, সীমান্ত নিরাপত্তার দায় শুধু বিএসএফ-এর ওপর চাপিয়ে দিলেই চলে না, রাজ্য পুলিশেরও সমান দায়িত্ব রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০২৬-এর আগে অনুপ্রবেশ ইস্যুকেই পাখির চোখ করছে গেরুয়া শিবির।

Related Posts

© 2026 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy