প্রতিবাদে অভিনব কৌশল, নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ! বেহাল রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় গ্রামে ঢোকার মূল রাস্তা কেটে দিলেন গ্রামবাসীরা

রাস্তা সংস্কারের বারবার আশ্বাস মেলা সত্ত্বেও দীর্ঘ দিন ধরে পরিস্থিতি বদলায়নি। তারই প্রতিবাদে এবার অভিনব বিক্ষোভ দেখালেন বর্ধমান ২ নম্বর ব্লকের সোনাপলাশি গ্রামের বাসিন্দারা। রবিবার তাঁরা গ্রামের মূল প্রবেশপথ কোদাল দিয়ে কেটে দিলেন, যাতে কোনও দু’চাকা বা চার চাকার গাড়িই গ্রামে ঢুকতে না পারে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

এক হাঁটু কাদা পেরিয়ে যাতায়াত
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামের আদিবাসী পাড়ার এক কিলোমিটার এবং ধর্মতলায় প্রায় ২,১৫০ ফুট লম্বা রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে আর্জি জানানো হলেও কোনো কাজ হয়নি।

গ্রামবাসীরা জানান, এক হাঁটু কাদা পেরিয়ে তাঁদের যাতায়াত করতে হয়।

বর্ষায় সমস্যা: বর্ষার সময় ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না।

স্বাস্থ্য সংকট: বেহাল রাস্তার কারণে গাড়ি বা অ্যাম্বুল্যান্স গ্রামে ঢুকতে পারে না, অসুস্থ রোগীদের নিয়ে চরম সমস্যায় পড়তে হয়।

দৈনন্দিন ভোগান্তি: টোটো পর্যন্ত এলাকায় ঢুকতে পারে না, এমনকি শ্মশানে মৃতদেহ নিয়ে যেতেও চরম সমস্যায় পড়তে হয়।

বিক্ষোভ ও প্রশাসনের তৎপরতা
দীর্ঘদিনের এই বঞ্চনার প্রতিবাদেই এদিন গ্রামে ঢোকার মূল রাস্তা কেটে দেয় গ্রামবাসীদের একাংশ। এই খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছন পঞ্চায়েত প্রধান ও পুলিশ। সেখানে তাঁরা প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিক্ষোভের মুখে গ্রামবাসীরা প্রশাসনকে গ্রামে ঘুরে বেহাল রাস্তা দেখতে বাধ্য করেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এবার আর শুধু মুখের কথায় চিঁড়ে ভিজবে না।

কুড়মুন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাসুদেব দে জানান, এই ঘটনার পর দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, পথশ্রী প্রকল্পে এই দুটি রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। পুজোর ছুটির জন্য কিছুটা দেরি হয়েছে, তবে এবার টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুত কাজ শুরু হবে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy