পশ্চিমবঙ্গে ভোটার বৃদ্ধি ‘অস্বাভাবিক’! অনুপ্রবেশকারীদের নাম তোলার অভিযোগ তুলে শমীক ভট্টাচার্য বললেন, ‘এটা গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ’

পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্যের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের তুলনায় ভোটার বৃদ্ধির হার যে ‘অস্বাভাবিকভাবে’ বেশি, সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি সরাসরি শাসক দলের বিরুদ্ধে ‘জাল ভোট’ তৈরির অভিযোগ তুলেছেন। শনিবার এক্স (আগের টুইটার) হ্যান্ডেলে এই বিস্ফোরক পোস্ট করেন বিজেপি নেতা।🔢 শমীক ভট্টাচার্যের এক্স হ্যান্ডেল পোস্ট: কী বলছেন পরিসংখ্যান?শমীক ভট্টাচার্য তাঁর পোস্টে স্পষ্ট করে দেখিয়েছেন, কীভাবে ভোটার বৃদ্ধির হার রাজ্যের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকে ছাপিয়ে গেছে।পরিসংখ্যানের ক্ষেত্র২০০১/২০০২ সালের তথ্য২০২৫ সালের তথ্যমোট বৃদ্ধিবৃদ্ধির হারজনসংখ্যা৮.০২ কোটি (২০০১)১০.৫৬ কোটি (প্রায়)২.৫৪ কোটি৩১.৭%ভোটার সংখ্যা৪.৫৮ কোটি (২০০২)৭.৬৪ কোটি৩.০৬ কোটি৬৭%বিজেপি নেতার মতে, যখন জন্মহার কমছে এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রিত, তখন ৬৭% ভোটার বৃদ্ধি অত্যন্ত অস্বাভাবিক।🇧🇩 বাংলাদেশ তত্ত্বও ফেল! ‘অতিরিক্ত ভোটার এল কোথা থেকে?’শমীক ভট্টাচার্য বাংলাদেশ থেকে হিন্দু শরণার্থী আসার তত্ত্ব দিয়েও এই অতিরিক্ত ভোটার বৃদ্ধির ব্যাখ্যা খোঁজার চেষ্টা করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন:”বাংলাদেশে ২০০১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯.২%। সর্বশেষ ২০২২ সালের সেনসাস অনুযায়ী তা দাঁড়িয়েছে ৭.৯৫%। অর্থাৎ, বাংলাদেশে গত ২০ বছরে হিন্দু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমেছে। ধরে নিলাম, এই কমে যাওয়া পুরো সংখ্যাটাই ভারতে এসেছে, তবুও এতো বাড়তি ভোটারকে ব্যাখ্যা করা যায় না।”তাঁর মূল প্রশ্ন: “তাহলে স্বাভাবিকভাবে মানুষের প্রশ্ন। এই অতিরিক্ত ভোটার এল কোথা থেকে?”🚨 বিজেপি নেতার গুরুতর অভিযোগ: ‘গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ’শমীক ভট্টাচার্য এরপরই সাধারণ মানুষের অভিযোগ তুলে ধরে রাজ্যের ভোটার তালিকায় জালিয়াতির গুরুতর অভিযোগ তোলেন। তাঁর অভিযোগগুলি হলো:মৃত মানুষের নাম ভোটার তালিকায় জীবিত রাখা।ডুপ্লিকেট বা নকল নাম তোলা।বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের নাম একাধিক ঠিকানায় যোগ করা।তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে লেখেন, “যদি এগুলো সত্যও হয়, তাহলে এটা শুধু রাজনৈতিক সমস্যা নয়, এটা গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ। কারণ জাল ভোট যখন সত্যিকারের ভোটকে ঢেকে দেয়, তখন মানুষের ভোটাধিকার আর গণতন্ত্র। দুটোই উপহাসে পরিণত হয়।”বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য তাঁর পোস্ট শেষ করেছেন এই দাবি তুলে: “স্বচ্ছ ভোটার তালিকা কোনো দলের দাবি নয়, এটা প্রতিটি নাগরিকের অধিকার। বাংলার মানুষ চায় একটাই- নির্ভুল তালিকা, সঠিক ভোট, আর প্রকৃত গণতন্ত্র।”

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy