নেতাজির সৈনিকদের চরম অপমান!’ আজাদ হিন্দ ফৌজকে ‘অনুপ্রবেশকারী’র সঙ্গে তুলনা, ব্রাত্য বসুর ক্ষমা চাওয়ার দাবি সুকান্তের

ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘাত চরমে। অনুপ্রবেশ ইস্যুতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এবার বিতর্কের আগুন জ্বলে উঠল। ব্রাত্য বসু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজ-এর প্রসঙ্গ টেনে যে মন্তব্য করেছেন, তাকে “অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়” বলে তীব্র প্রতিবাদ জানালেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

🔥 কী বলেছিলেন ব্রাত্য বসু?
সুকান্ত মজুমদার তাঁর এক্স (আগের টুইটার) হ্যান্ডেলে ব্রাত্য বসুর একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করেছেন। সেই ভিডিওতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে বলতে শোনা গেছে:

“এসআইআর নিয়ে আপনাদের বলি, মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা যদি এখানে ঢোকে আমার নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার বলেছেন ভুলে যাবেন না, মায়ানমার মানে বার্মা—ওখান থেকে কলকাতা আসার রাস্তা মানে পশ্চিমবঙ্গ হচ্ছে আজাদ হিন্দ ফৌজের আসার রাস্তা।”

সুকান্ত মজুমদারের তীব্র নিন্দা: ‘বীরদের প্রতি অবমাননা’
ভিডিওটি সম্পূর্ণ না হলেও, সুকান্ত মজুমদার এই তুলনাকে ভারতের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করা মহান বীরদের প্রতি অবমাননা হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্য ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।’

সুকান্ত মজুমদার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট টেনে বলেন:

“১৯৪৪ সালে সর্বজনশ্রদ্ধেয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজ যখন বার্মা হয়ে ভারতের মাটিতে প্রবেশ করেছিল, তখনও নেহরু কংগ্রেস তাঁদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল।”

“আজ কার্যত একই ভাষা পুণরায় ব্যবহার করার এই অপচেষ্টা ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং দেশপ্রেমের প্রতি গভীর অবমাননা।”

❌ ‘রোহিঙ্গারা জেহাদ করতে ঢুকেছে, আজাদ হিন্দ এসেছিল স্বাধীনতা আনতে’
বিজেপি নেতা দু’টি ঘটনার মধ্যেকার পার্থক্যও স্পষ্ট করে দেন। তাঁর কথায়:

“নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজ বার্মা (বর্তমান মায়ানমার) হয়ে মণিপুরের মৈরাং সীমান্ত দিয়ে ভারতের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রবেশ করেছিল। আর রোহিঙ্গারা জেহাদ করতে গিয়ে মায়ানমার সেনাবাহিনীর তাড়া খেয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছে।”

সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, “নেহরু, কংগ্রেসের মতো ব্রাত্য বসুও আজাদ হিন্দ ফৌজকে অনুপ্রবেশকারী আখ্যা দিতে চাইলেন।” তিনি অবিলম্বে শিক্ষামন্ত্রীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানিয়েছেন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy