পথ দুর্ঘটনায় চিকিৎসাধীন ৬ বছরের এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল মালদহের ইংরেজবাজার থানার কোতুয়ালি–আরাপুর এলাকায়। প্রশাসনের বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ তুলে শুক্রবার সকালে টায়ার জ্বালিয়ে মালদহ-রতুয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই পুলিশের সঙ্গে উত্তেজিত জনতার সরাসরি সংঘাত হয়। অবরোধকারীদের আক্রমণে বাধ্য হয়ে পুলিশকে লাঠিচার্জ এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়তে হয়।
🚔 পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, উত্তপ্ত পরিবেশ
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই উত্তেজনা কয়েক গুণ বাড়ে। ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের গাড়ির ওপর চড়াও হয় এবং নির্বিচারে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় এবং হামলার চেষ্টা হওয়ায় পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হয়। ব্যাপক লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগের পরই জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা সম্ভব হয়।
এই ঘটনার পর থেকে কোতুয়ালি-আরাপুর এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
🛑 কীভাবে ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা?
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত বুধবার আরাপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি মারুতি গাড়ি আচমকা রাস্তার পাশের এক গৃহস্থের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। সেই সময় বাড়িতে থাকা ছয় বছরের শিশু দীপ পোদ্দার গুরুতর আহত হয়। দীপের পাশাপাশি তার বাবা রতন পোদ্দার ও মা বিন্দু পোদ্দারও আহত হন। সঙ্গে সঙ্গেই তিনজনকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ছোট্ট দীপ পোদ্দারের।
😠 প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘নিষ্ক্রিয়তা’র অভিযোগ
নাবালকের মৃত্যুর পরই স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ চরমে ওঠে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি এবং দোষীদের বিরুদ্ধে সঠিক সময়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ক্ষোভ থেকেই শুক্রবার সকালে মালদহ-রতুয়া রাজ্য সড়ক টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে তারা। অবরোধ সরাতে পুলিশ পৌঁছাতেই উত্তেজনা চরমে ওঠে এবং এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পুলিশ এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এনেছে, তবে এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।