দিল্লি এবং এনসিআর অঞ্চলে বায়ুদূষণের ভয়াবহতা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলিকে কড়া বার্তা দিল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে যে, এই সমস্যা নিয়ে কেবল শীতকালে আলোচনা করলে হবে না, দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান বের করতে হবে।
সোমবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি করে।
কৃষকদের উপর দায় চাপানো অন্যায়: শুনানির সময় বিচারপতি সূর্য কান্ত, যিনি নিজে হরিয়ানার হিসারের কৃষক পরিবারের সন্তান, তিনি ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো (নাড়া পোড়া) নিয়ে প্রশাসনকে তীব্র ভর্ত্সনা করেন।
বিচারপতি কান্তের বক্তব্য, “নাড়া পোড়াকে অযথা রাজনৈতিক ইস্যু বানাবেন না। কোভিড কালের কথা ভাবুন, তখনও তো নাড়া পোড়ানো হতো, তা হলে তখন কী করে পরিষ্কার নীল আকাশ দেখা যেত? এর মানে নাড়া পোড়া বাদেও দূষণের আরও একাধিক ফ্যাক্টর রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “কৃষকরা আদালতে এসে মামলা লড়তে পারেন না বলে দূষণের দায় তাঁদের উপরে চাপিয়ে দেওয়া অন্যায়।”
আদালতের নতুন নিদান: আদালত এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে যে দূষণ রোধের ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় সরকারকেই করতে হবে। এই প্রসঙ্গে আদালতের বক্তব্য, “দিল্লির দূষণের বিষয়টা অক্টোবর এলেই কোর্টে তুলে আলোচনা করলে চলবে না। মাসে অন্তত দু’বার বিষয়টা নিয়ে পর্যালোচনা প্রয়োজন।”
আদালত আরও যোগ করেছে, “আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। সমাধান বিশেষজ্ঞদেরই দিতে হবে। কোর্টের কাছে সমাধান না-ই থাকতে পারে, কিন্তু সলিউশনের একটা প্ল্যাটফর্ম তো তৈরি করা যেতেই পারে।”
শীর্ষ আদালতের এই কঠোর নির্দেশনার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিয়মিতভাবে দূষণ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দ্রুত সমাধানের পথ বের করতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর।