ট্রাম্প-মোদি ঘনিষ্ঠতায় ফাটল! সম্পর্ক ভাঙার জন্য পাক ‘ঘুষ’-কেই দুষলেন পেন্টাগনের প্রাক্তন কর্তা

একসময় খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিত দুই রাষ্ট্রনেতার অটুট বন্ধুত্ব। কিন্তু এখন সেই জায়গা নিয়েছে টানাপোড়েন, যা স্পষ্টতই ভারত ও আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যেকার বোঝাপড়া যে এখন আর আগের মতো নেই, তা আর গোপন নেই।

এই বর্তমান পরিস্থিতির জন্য এবার পাকিস্তানকেই দুষলেন পেন্টাগনের এক প্রাক্তন আধিকারিক। সংবাদ সংস্থা ANI-কে দেওয়া এক বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে পেন্টাগনের প্রাক্তন আধিকারিক মাইকেল রুবিন দাবি করেছেন, ট্রাম্পের ‘অযোগ্যতা’ এবং পাকিস্তানের ‘চাটুকারিতা ও ঘুষ’ই ভারত-আমেরিকা সম্পর্কে অবনতি ঘটাচ্ছে এবং এর ফলস্বরূপ ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক আরও গাঢ় হচ্ছে।

মাইকেল রুবিন জানান, “আমেরিকা ও ভারতের বোঝাপড়াকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন, তাতে আমরা অনেকেই স্তম্ভিত।” কেন এমন হচ্ছে? তাঁর মতে, এর কারণ হতে পারে “পাকিস্তানিদের চাটুকারিতা। তার চেয়েও বেশি হয়ত ঘুষ, পাকিস্তান এবং তাদের সমর্থনকারী তুরস্ক ও কাতারের তরফে দেওয়া।” তিনি সতর্ক করে বলেন, এই ‘ঘুষ’ কৌশলগত ভাবে আগামী কয়েক দশকে আমেরিকার জন্য বড় ঘাটতির কারণ হবে।

রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের উপর দু’দফায় ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে মাইকেল বলেন, আমেরিকা নিজে যখন রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করছে, তখন ভারতকে ‘জ্ঞান’ দেওয়া সম্পূর্ণ দ্বিচারিতা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভারত তার দেশের স্বার্থ মেনেই মোদিকে নির্বাচিত করেছে এবং ভারত পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হতে চলেছে।

মাইকেলের স্পষ্ট বার্তা: ভারতকে ‘জ্ঞান’ দেওয়ার পরিবর্তে ওয়াশিংটনের উচিত দিল্লিকে কম দামে তেল বিক্রি করা। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে আমেরিকার চুপ থাকা উচিত। কারণ ভারতকে তার নিজের সিদ্ধান্ত নিতে দিতে হবে। এই টানাপোড়েনের আবহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দিল্লি সফরে এসে আশ্বাস দিয়েছেন, ভবিষ্যতেও ভারতকে তেল দিতে তাঁরা প্রস্তুত, যদিও ভারত ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে তেল কেনা কিছুটা কমিয়েছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy