উন্নাও গণধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গারের স্বস্তিতে জল ঢেলে দিল সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লি হাইকোর্টের দেওয়া অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করল দেশের শীর্ষ আদালত। আদালতের এই কড়া পদক্ষেপের পরেই সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন সেঙ্গার এবং তাঁর কন্যা ঐশ্বর্য। তাঁদের দাবি, তাঁরা গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার এবং বিচার প্রক্রিয়ায় তাঁদের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে।
মেয়ে ঐশ্বর্যের মাধ্যমে জারি করা এক বিবৃতিতে কুলদীপ সেঙ্গার অভিযোগ করেন, সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় তাঁদের পক্ষের যুক্তিগুলো সঠিকভাবে পেশ করার সুযোগই মেলেনি। তিনি বলেন, “আজ সুপ্রিম কোর্টে মামলার মূল বিষয় নিয়ে বিতর্ক শুরুই করা যায়নি। নির্যাতিতা বারবার নিজের বয়ান বদলেছেন। কখনও বলেছেন দুপুর ২টো, কখনও সন্ধ্যা ৬টা, আবার কখনও সকাল ৮টার কথা বলেছেন। এমনকি মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টেও তাঁর বয়স ১৮ বছরের বেশি বলে প্রমাণিত।” সেঙ্গারের দাবি, তাঁর ফোনের কল ডিটেইল রেকর্ড (CDR) প্রমাণ করে যে ঘটনার সময় তিনি অকুস্থলে ছিলেনই না। গত আট বছর ধরে তিনি কেবল ন্যায়ের জন্য লড়াই করছেন বলে দাবি করেন।
অন্যদিকে, ঐশ্বর্য সেঙ্গার সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর খবর ছড়ানোর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তিনি জানান, নির্যাতিতার আত্মীয়দের গাড়ি দুর্ঘটনা নিয়ে সিবিআই এবং আইআইটি দিল্লির বিশেষজ্ঞ দল তদন্ত করেছে এবং আদালত তাঁদের ক্লিনচিট দিয়েছে। বাবার অনুপস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “নির্যাতিতার বাবার মৃত্যুর সময় আমার বাবা শহরেই ছিলেন না। মিডিয়া যেন একতরফা খবর না দেখায়।”
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওতে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনের সামনে নির্যাতিতার আত্মহত্যার চেষ্টার পর মামলাটি সিবিআই-এর হাতে যায় এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিচারপ্রক্রিয়া দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়। আজ সিবিআই-এর আবেদনের ভিত্তিতেই সেঙ্গারের জামিন আটকে দিল আদালত।