এক শিক্ষকের মারাত্মক গাফিলতির কারণে ওড়িশার কেওনঝড়ে একটি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী সারা রাত ক্লাসরুমে তালাবন্দি হয়ে ছিল। পরদিন সকালে তাকে জানালার গ্রিলে মাথা আটকে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় অঞ্জর সরকারি আপার প্রাইমারি স্কুলের ছুটি হয়ে যায়।দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী জ্যোৎস্না দেহুরি ক্লাসরুম থেকে বের হতে সামান্য দেরি করেছিল। শিক্ষিকা তা না দেখেই ক্লাসরুমের দরজা বন্ধ করে চলে যান।পরে স্কুলের অন্যান্য কর্মীরাও ক্লাসরুমের ভেতরে কেউ আছে কিনা, তা খেয়াল না করেই স্কুলের মূল গেটে তালা দিয়ে দেন।ভয়ে জ্যোৎস্না ক্লাসরুমের ভেতর থেকে বের হওয়ার জন্য দরজা ও জানালার গ্রিলে ধাক্কা দিচ্ছিল, কিন্তু কেউ তার আওয়াজ শুনতে পায়নি। এরপর সে জানালা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু তার মাথা গ্রিলের রডের মাঝে আটকে যায়। সারা রাত সে ওইভাবেই আটকে ছিল।
জ্যোৎস্নার বাবা-মা সারা রাত তাকে খুঁজেও পাননি। পরদিন সকালে, স্কুলের রাঁধুনি যখন ক্লাস খুলতে আসেন, তখন তিনি জ্যোৎস্নাকে ওই অবস্থায় দেখতে পান। তার চিৎকারে স্থানীয় মানুষ এবং জ্যোৎস্নার পরিবার ছুটে আসে। তারা মিলে লোহার রড বেঁকিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখন সে সুস্থ আছে।
এই গুরুতর গাফিলতির জন্য জেলা প্রশাসন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌর হরি মহান্তকে সাসপেন্ড করেছে।