লাদাখের সমাজকর্মী, গবেষক এবং ‘থ্রি ইডিয়টস’ ছবির অনুপ্রেরণা সোনম ওয়াংচুক-এর গ্রেফতার এবং লাদাখে প্রাণহানির ঘটনার পর থেকেই বিতর্ক তুঙ্গে। এরই মাঝে লাদাখ পুলিশের ডিজি এসডি সিং জামওয়ালের একটি ‘ডিপফেক’ ভিডিওকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
ওই বিতর্কিত ভিডিওতে দাবি করা হয়েছিল, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে এবং প্রমাণ ছাড়াই সোনম ওয়াংচুককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর (PIB) ফ্যাক্ট চেক ইউনিট এটিকে ‘ডিপফেক অ্যালার্ট’ হিসেবে শনাক্ত করে জানিয়েছে, লাদাখের ডিজি এমন কোনও বিবৃতি দেননি।
স্বামীর ‘পাকিস্তান লিঙ্ক’ নিয়ে ফুঁসছেন স্ত্রী
ভিডিও বিতর্কের মধ্যেই সোনম ওয়াংচুকের স্ত্রী গিতাঞ্জলি জে. অ্যাঙ্গমো তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা ‘পাকিস্তান লিঙ্ক’-এর অভিযোগ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি এই অভিযোগ খারিজ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চিন সফরের উদাহরণ টেনে প্রশ্ন তুলেছেন:
“আমরা রাষ্ট্রসংঘের (UN) আমন্ত্রণে পাকিস্তানে পরিবেশ সম্মেলনে গিয়েছিলাম। মোদীজীও চীনে গিয়েছেন, তাহলে তাঁকে কেন কখনও প্রশ্ন করা হয় না? সোনাম পাকিস্তানে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রসংঘ-সমর্থিত একটি কনফারেন্সে যোগ দিতে, যেখানে হিমালয় অঞ্চলের সকল দেশ অংশ নিয়েছিল। জলবায়ু পরিবর্তন সীমান্ত দেখে না।”
গিতাঞ্জলি স্পষ্ট করেন, ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ পাকিস্তানে দেওয়া ভাষণে সোনাম ওয়াংচুক প্রধানমন্ত্রী মোদীর জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও কার্বন নির্গমন হ্রাসের উদ্যোগের প্রশংসা করেছিলেন, যা রেকর্ড করা আছে।
‘চার বছর ধরে আমাদের টার্গেট করা হচ্ছে’
ওয়াংচুকের আন্দোলন শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে লাদাখকে আলাদা ইউনিয়ন টেরিটরি ঘোষণার পর। তিনি লাদাখের ল্যান্ড রাইটস এবং আদিবাসী এলাকার সুরক্ষার দাবি তুলে গান্ধীয় উপায়ে অনশন করছেন।
গিতাঞ্জলি অভিযোগ করেছেন, গত চার বছর ধরে সরকারি সংস্থাগুলি (সিবিআই, আইবি, আইটি) তাঁদের এনজিও সেকমল (SECMOL) এবং এইচআইএএল-কে টার্গেট করছে।
তিনি দাবি করেন, “তারা বলেছে, অনশন বন্ধ না করলে এফসিআরএ লাইসেন্স ক্লিয়ার হবে না।” তাঁর অভিযোগ, সরকারি সংস্থাগুলি এখন মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে (পাকিস্তান লিঙ্ক, টাকা তছরুপ) যাতে ওয়াংচুকের কণ্ঠস্বর দমন করা যায়।