কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে এক ভয়াবহ গণধর্ষণ ও লুঠের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। গণধর্ষণের শিকার হলেন পশ্চিমবঙ্গের এক তরুণী। অভিযোগ, পাঁচ অভিযুক্ত শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি, এরপর ওই তরুণীর বাড়ি থেকে সর্বস্ব লুটে নিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর গঙ্গোন্দাহাল্লি এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ৯টা ১৫ মিনিট থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণধর্ষণ ও চুরির ঘটনাটি ঘটে। ওই বাড়িতে নির্যাতিতা ছাড়াও আরও পাঁচজন— দুজন মহিলা, দুজন বয়স্ক ব্যক্তি ও দুজন শিশু— বসবাস করতেন। রাতে পাঁচ যুবক দরজা ধাক্কাধাক্কি করে খুলতে হুমকি দেয়।
পুলিশ আধিকারিক সিকে বাবা জানিয়েছেন, গণধর্ষণের পর অভিযুক্তরা ওই বাড়ি থেকে দু’টি দামি মোবাইল ফোন এবং নগদ ২৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ নির্যাতিতার বড় ছেলে পুলিশে ফোন করে অভিযোগ জানালে উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
বর্তমানে নির্যাতিতা তরুণী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। অভিযুক্তদের সঙ্গে নির্যাতিতার পূর্ব পরিচিত ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাঁচ অভিযুক্তই ওই এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
ইতিমধ্যেই কার্তিক, গ্লেন এবং সুয়োগ নামের তিন অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। বাকি দুই অভিযুক্ত ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ গণধর্ষণ ও চুরির মামলা রুজু করে জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে।