দুর্গাপূজা মানেই জেলার বহু মানুষের কাছে বেলুড় মঠের পুজো। আর এই পুজোর মূল আকর্ষণ হলো মহাষ্টমীর পুজো এবং কুমারী পুজো। মায়ের কুমারী রূপে দর্শন করতে মঙ্গলবার, মহাষ্টমীর দিন সকাল থেকেই বেলুড় মঠে ভিড় জমিয়েছেন অগণিত ভক্ত।
সারা বাংলার মানুষ অঞ্জলি, ভোগ গ্রহণ এবং কুমারী পুজো চাক্ষুষ করতে প্রতি বছরই মঠে হাজির হন। এদিন সকাল থেকেই মঠ চত্বরে ছিল উৎসবের মেজাজ।
মহাষ্টমী, কুমারী পুজো ও সন্ধিপুজো
বেলুড় মঠ সূত্রে জানা যায়, পুজো শুরু ও কুমারী পুজোয় এদিন অগণিত ভক্ত সমাগম ঘটে। মহাষ্টমীর দিনের প্রধান অনুষ্ঠানগুলির সময় ছিল:
অষ্টমী পুজো আরম্ভ: সকাল ৫:৪০ মিনিটে।
কুমারী পুজো: সকাল ৯:০০টায় (১৩ আশ্বিন)।
সন্ধিপুজো: বিকাল ৫:৪৩ মিনিটে। (অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণ)
নবমী ও দশমীর নির্ঘণ্ট
অষ্টমী শেষে বুধবার মহানবমীর পুজো অনুষ্ঠিত হবে। এরপরের দিন বৃহস্পতিবার হবে প্রতিমা নিরঞ্জন। পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত বেলুড় মঠের পুজোর সময়সূচী আগেই প্রকাশ করা হয়েছিল:
দিন তারিখ (আশ্বিন) অনুষ্ঠান সময়
মহানবমী ১৪ আশ্বিন (বুধবার) পুজো, ভোগ আরতি ও হোম সকাল ৫:৪০ মিনিট থেকে
বিজয় দশমী ১৫ আশ্বিন (বৃহস্পতিবার) দেবীর দশমীবিহিত পুজো ও সন্ধ্যারতির পর প্রতিমা নিরঞ্জন
পুষ্পাঞ্জলি প্রতিদিন দেবীর মধ্যাহ্ন ভোগ আরতির পর দুপুর ১২:৩০ মিনিট থেকে ১:০০টা পর্যন্ত
প্রসাদ বিতরণ প্রতিদিন মা সারদা সত্যব্রত ভবন থেকে দুপুর ১২:০০টা থেকে
Export to Sheets
কুমারী পুজো ও সন্ধিপুজোর টানে এদিন মঠ চত্বরে যে জনস্রোত দেখা গেছে, তা প্রমাণ করে বেলুড় মঠের এই পুজো বাঙালি জীবনে এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে।