রাজ্যে এসআইআর (Special Intensive Revision) অর্থাৎ ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে চরম বিতর্ক। আর এই ইস্যুতেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। হাওড়ার একটি কর্মীসভা থেকে তিনি এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন যা রাজনৈতিক মহলে ঝড় তুলেছে।
শনিবার হাওড়ার ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন হলে বিজেপির একটি কর্মীসভায় যোগ দিয়েছিলেন মহাগুরু। সেখানে কর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসআইআর নিয়ে তৃণমূলের অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ জানান।
🔥 অভারতীয়দের জন্যই কি TMC-র এত ভয়?
এসআইআর নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের সরব হওয়ার তীব্র বিরোধিতা করে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূল যেভাবে এসআইআর নিয়ে সরব হয়েছে, তার বিরোধিতা করলেন। একইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, পশ্চিমবঙ্গ একমাত্র ধর্মশালা, যেখানে অভারতীয়রা খাটিয়া পেতে আরামে শুয়ে থাকে।”
তিনি দাবি করেন, রাজ্যে এসআইআর লাগু হতেই শাসক দল ভয় পেয়ে গিয়েছে। কারণ তাঁর মতে, “পুরোপুরি এসআইআর হলে তৃণমূল বিপদে পড়বে। তাই এখন তারা ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।”
‘অভারতীয়দের জন্য এত দরদ কিসের?’
তৃণমূলকে সরাসরি নিশানা করে মিঠুন চক্রবর্তী স্পষ্ট করেন যে, এসআইআর-এর লক্ষ্য কোনো ভারতীয় মুসলিমকে বে-নাগরিক করা নয়। তাঁর বক্তব্য, “এসআইআর-এর মাধ্যমে কোনও ভারতীয় মুসলিমকে বে-নাগরিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে না। যারা অভারতীয় মুসলিম, তাদের এখানে থাকতে দেওয়া হবে না।”
এরপরেই তিনি কড়া ভাষায় প্রশ্ন তোলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের অভারতীয় মুসলিমদের জন্যে এত দরদ কিসের? আমার কিন্তু তাদের প্রতি কোনও সহানুভূতি নেই।”
💔 ‘এসআইআর-এর ভয়ে মানুষ মরছে, TMC ভুল বোঝাচ্ছে’
সম্প্রতি এসআইআর-এর আবহাওয়ার কারণে রাজ্যে আত্মহত্যার ঘটনায় তিনি সরাসরি রাজ্যের শাসক দলকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, “এমন একটি ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে যাতে মানুষ মারা যাচ্ছে। যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি। তৃণমূল এসআইআর নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।”
মিছিল নিয়ে কটাক্ষ, ‘২০২৬ অ্যাসিড টেস্ট’
অন্যদিকে, আগামী ৪ নভেম্বর তৃণমূল কংগ্রেস এসআইআর বিরোধী একটি মিছিলের আয়োজন করেছে কলকাতায়। এই মিছিলকেও তীব্র কটাক্ষ করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি প্রশ্ন করেন, “অভারতীয়দের জন্য কি এই মিছিল হচ্ছে?”
মিঠুন চক্রবর্তী কর্মীদের মনোবল বাড়াতে বলেন, “২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন আমাদের কাছে অ্যাসিড টেস্ট। যেমন প্রত্যেকটা নির্বাচনই অ্যাসিড টেস্ট হয়। তবে আমরা লড়াই করব।”