দেশজুড়ে ভোটার তালিকা বিশেষ সংশোধনী বা এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া নিয়ে যখন রাজনৈতিক প্রতিবাদ চলছে, তখন এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হতে চলেছে তামিলনাড়ু। রবিবার বিকেলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্তালিনের (MK Stalin) নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
তামিলনাড়ুতে আগামী বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালের এপ্রিলে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ডিএমকে সরকার নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছিল, যেন ভোটের পরে এসআইআর প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হয়। কিন্তু কমিশন এই প্রস্তাবে সায় দেয়নি।
‘ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা’
বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্তালিন সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, কমিশন তাঁদের অনুরোধ না মানায় সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি এই প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন:
“হুড়োহুড়ি করে এসআইআর কার্যকর করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য তামিলনাড়ুর মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া এবং গণতন্ত্রের হত্যা করা। এই সময় এসআইআর-এর বিরুদ্ধে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরব হতে হবে।”
স্ট্যালিন সরকারের দাবি ছিল, যেহেতু বিষয়টি বহু নাগরিকের কাছে পরিষ্কার নয় এবং সন্দেহ রয়ে গিয়েছে, তাই যথেষ্ট সময় নিয়ে ও ভোট শেষ হওয়ার পরে এই প্রক্রিয়া চালানো উচিত ছিল।
সর্বদলীয় ঐক্য ও আইনি পদক্ষেপ
এই সর্বদলীয় বৈঠকে অংশগ্রহণকারী ৪৯টি রাজনৈতিক দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্র রক্ষার উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, বর্তমানে দেশের ১২টি রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন, যার মধ্যে তামিলনাড়ু অন্যতম। পশ্চিমবঙ্গেও এই প্রক্রিয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা চরমে।
উল্লেখ্য, এসআইআর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই মামলা চলছে। তামিলনাড়ুও এবার আরেকটি অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য হিসেবে আদালতের শরণাপন্ন হতে চলেছে, যা এই আইনি বিতর্কের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিল।