উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (AMU) নিরাপদ চত্বরে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড। বুধবার রাতে ক্যাম্পাসের মধ্যেই প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে খুন করা হল এবিকে হাইস্কুলের কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষক দানিশ রাওকে (Danish Rao)। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে তিনি ওই স্কুলে কর্মরত ছিলেন। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তীব্র আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা ছড়িয়ে পড়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল? পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত পৌনে ৯টা নাগাদ দানিশ রাও তাঁর দুই সহকর্মীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের কাছ দিয়ে হাঁটছিলেন। সেই সময় স্কুটারে করে আসা দুই যুবক তাঁদের পথ আটকায়। হামলাকারীদের একজন দানিশকে হুমকি দিয়ে বলে, “এখনও আমাকে চেনো না, এবার চিনবে।” এরপরই দানিশকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালানো হয়। অন্তত তিনটি গুলি তাঁর শরীরে লাগে, যার মধ্যে দুটি ছিল মাথায়। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশি তৎপরতা ও নিরাপত্তা প্রশ্ন: আলিগড়ের পুলিশ সুপার নীরজ যাদব জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের ধরতে ৬টি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুরক্ষিত এলাকায় কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতীরা ঢুকল এবং গুলি চালিয়ে অনায়াসে পালিয়ে গেল, তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে।
বিস্ময়কর বিষয় হল, এই হত্যাকাণ্ডের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার উন্নতির দাবি করেছিলেন। সেই দাবির রেশ কাটতে না কাটতেই আলিগড়ের এই ঘটনা যোগী সরকারের ‘সুশাসন’ ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন বসিয়ে দিল।