৪৩ বছরের ইতিহাসে এ কোন ডিসেম্বর? দিন ও রাতের তাপমাত্রার ফারাক কত?

বিগত ১৩ বছরের মধ্যে শীতলতম দিন কাটাল তিলোত্তমা। সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় সাত ডিগ্রি কমে দাঁড়াল মাত্র ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বরের পর শহরবাসী আর কখনও এমন হাড়কাঁপানো দিনের সাক্ষী থাকেনি। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ছিল ১৩.৫ ডিগ্রির আশেপাশে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান মাত্র ৪.৭ ডিগ্রিতে নেমে আসায় সারাদিন লেপ-কম্বল ছেড়েই উঠতে পারেননি শহরবাসী।

কেন এই পরিস্থিতি? আবহাওয়াবিদ এইচ. আর. বিশ্বাসের মতে, নিম্ন বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত কুয়াশা ও আর্দ্রতার কারণেই এমন পরিস্থিতি। বঙ্গোপসাগর থেকে আসা আর্দ্র বাতাস ও উত্তর-পশ্চিমের ঠান্ডা বাতাসের দ্বৈত প্রভাবে আকাশ মেঘলা ছিল, ফলে সূর্যের তেজ ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারেনি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৭১ শতাংশ হওয়ায় কনকনে ভাব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

কুয়াশার সতর্কতা ও নতুন বছরের পূর্বাভাস: মঙ্গলবার থেকে আকাশ কিছুটা পরিষ্কার হলেও কুয়াশার দাপট বজায় থাকবে। দক্ষিণবঙ্গে দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারে নেমে আসার আশঙ্কা থাকলেও উত্তরবঙ্গের অবস্থা হবে আরও ভয়াবহ। কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরে দৃশ্যমানতা ৫০ মিটার এমনকি শূন্যের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। তবে সবথেকে বড় চমক অপেক্ষা করছে পাহাড়-প্রেমীদের জন্য। বুধবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে দার্জিলিঙে হালকা বৃষ্টি এবং তুষারপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সান্দাকফু বা চটকপুরে বর্ষবরণের রাতে বরফ পড়ার খবর মিললে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

Related Posts

© 2026 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy