আমেরিকার শেয়ারবাজারে হঠাৎ তীব্র পতনের জেরে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনকুবেরের সম্পদে একদিনেই ভয়াবহ ধস নেমেছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সম্পদ যেন মুহূর্তে গায়েব হয়ে গেছে। এই পতনের শিকার হয়েছেন টেসলার প্রধান এলন মাস্ক, অ্যামাজনের জেফ বেজোস থেকে শুরু করে মেটার সিইও মার্ক জুকারবার্গ পর্যন্ত সকলেই।
জুকারবার্গের সবচেয়ে বড় ক্ষতি:
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, এই পতনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন ফেসবুক ও মেটার প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ। একদিনেই তাঁর নেট ওয়ার্থ কমেছে ২৯.২ বিলিয়ন ডলার! এখন তাঁর মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৩৫ বিলিয়ন ডলারে। এই বিপুল ক্ষতির ফলে জুকারবার্গ বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় পঞ্চম স্থানে নেমে গিয়েছেন।
মাস্ক, বেজোস ও এলিসনের পতন:
বিশ্বের এক নম্বর ধনকুবের এলন মাস্কের মোট সম্পদও একদিনে কমেছে ১৫.৩ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তাঁর নেট ওয়ার্থ ৪৫৭ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, ওরাকল কোম্পানির প্রধান ল্যারি এলিসনের নেট ওয়ার্থ কমেছে ১৯.৮ বিলিয়ন ডলার, যা এখন ৩১৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সম্পদও ৬.৬ বিলিয়ন ডলার কমে বর্তমানে ২৪৬ বিলিয়ন ডলারে ঠেকেছে।
অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত ধনকুবের:
এছাড়াও উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে— ফ্রান্সের বিলাসপণ্য ব্যবসায়ী বার্নার্ড আর্নল্টের (সম্পদ এখন ১৯৪ বিলিয়ন ডলার, সপ্তম স্থানে), সিমেট বালমারের (১৮১ বিলিয়ন ডলার, অষ্টম স্থানে), এনভিদিয়ার জেনসেন হুয়াংয়ের (১৭৬ বিলিয়ন ডলার, নবম স্থানে) এবং মাইকেল ডেলের (১৬৫ বিলিয়ন ডলার, দশম স্থানে)।
দুই ধনকুবেরের ভাগ্য উল্টো ঘুরল:
এই ভয়াবহ পতনের মাঝেও দুই ধনকুবেরের ভাগ্য উল্টো ঘুরেছে। গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ৫.৩১ বিলিয়ন ডলার সম্পদ বাড়িয়েছেন, তাঁর মোট নেট ওয়ার্থ এখন ২৪৪ বিলিয়ন ডলার। অপর সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিনও ৪.৯২ বিলিয়ন ডলার লাভ করেছেন, তাঁর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ২২৮ বিলিয়ন ডলার।