আজ দুপুরে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার রণডিহা জলাধারে স্নান করতে নেমে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হলো সাত বন্ধু। পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা এলাকা থেকে আসা এই যুবকরা জলাধারে নেমে স্নান করার সময় আচমকা তলিয়ে যেতে শুরু করে। স্থানীয়দের তৎপরতায় প্রাথমিকভাবে চারজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, এখনো নিখোঁজ রয়েছেন তিনজন। নিখোঁজদের খোঁজে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা তল্লাশি চালাচ্ছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে কাঁকসা এলাকার সাত বন্ধু রণডিহা জলাধারে স্নান করতে আসে। জলে নামার পরই তারা স্রোতের টানে তলিয়ে যেতে থাকে। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসতেই তড়িঘড়ি উদ্ধার কাজ শুরু হয়। স্থানীয় মৎস্যজীবীদের নৌকার সাহায্যে দ্রুত চারজনকে উদ্ধার করা গেলেও, ১৭ বছর বয়সী তিন কিশোর—সুরজিৎ বিশ্বাস, জিতু অধিকারী এবং অভিজিৎ গায়েনের এখনো কোনো খোঁজ মেলেনি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা নরোত্তম রায় জানান, “অনেকে বেড়াতে এসেছিল। ওরা মদ্যপান করে নেমেছিল। তারপর স্নান করছিল। সেই সময় পাঁচজন জলের তলায় চলে যায়। বাকিরা পাড়ে উঠে যায়।” তার এই মন্তব্য দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে মদ্যপানকে ইঙ্গিত করছে।
বর্তমানে নিখোঁজ তিনজনের খোঁজে বাঁকুড়ার সোনামুখী এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার বুদবুদ থানার পুলিশ যৌথভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে। পাশাপাশি, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও খবর দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।