বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরীর (Mahima Chaudhry) একটি সাম্প্রতিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ঝড় তুলেছে। ভিডিওটিতে ৬২ বছর বয়সী অভিনেতা সঞ্জয় মিশ্রের (Sanjay Mishra) সঙ্গে কনের সাজে দেখা গিয়েছে মহিমাকে। ৯০০-এর দশকের এই নায়িকা লাল শাড়ি এবং সঞ্জয় মিশ্র ঐতিহ্যবাহী শেরওয়ানি পরে নবদম্পতির মতো পোজ দিয়েছেন।
৫২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর আচমকা এই ‘বিয়ের সাজ’ দেখে ভক্তদের মনে প্রশ্ন, তবে কি মহিমা গোপনে আবার বিয়ে করলেন?
‘বিয়েতে মিষ্টি পাবেন’—মহিমার মন্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে
ভাইরাল হওয়া ছোট ক্লিপটিতে মহিমা মজা করে ফটোগ্রাফারদের বলেন, “আপনারা বিয়েতে আসতে পারবেন না, তবে মিষ্টি নিশ্চয়ই পাবেন!” অভিনেত্রীর এই হালকা মন্তব্যটি ভক্তদের মধ্যে কৌতূহল আরও বাড়িয়ে তোলে এবং অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে দুই অভিনেতা সত্যিই সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন।
সত্যটা কী?
তবে ভক্তদের এই জল্পনা একেবারেই সত্যি নয়! ভিডিওটির মাধ্যমে তুলে ধরা ‘সত্যের’ পিছনে রয়েছে অন্য কারণ।
আসলে, ভাইরাল সেই দৃশ্যগুলি সিদ্ধান্ত রাজ পরিচালিত তাঁদের আসন্ন ছবি ‘দুর্লভ প্রসাদ কি দুসরি শাদি’-র প্রচারণার অংশ। মহিমা এবং সঞ্জয় মিশ্র উভয়েই ছবিতে নববিবাহিত দম্পতির চরিত্রে অভিনয় করছেন এবং প্রচারের কৌশল হিসেবেই বিয়ের পোশাকে প্রকাশ্যে এসেছেন।
এর আগে মহিমা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিটির মোশন পোস্টার শেয়ার করেছিলেন। এই ছবিতে প্রধান জুটির পাশাপাশি অভিনেতা ব্যোম এবং পলক লালওয়ানিকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে। তবে ছবিটির মুক্তির তারিখ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি।
বিতর্কিত ছিল মহিমার ব্যক্তিগত জীবন
সঞ্জয় মিশ্রের সঙ্গে বিয়ের সাজে মহিমাকে নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠলেও, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই ছিল বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। ২০০৬ সালে স্থপতি ও ব্যবসায়ী ববি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ের পর ২০০৭ সালে তাঁদের মেয়ে আরিয়ানা পৃথিবীতে আসে। তবে এই দম্পতির মধ্যে ঝামেলা শুরু হয় এবং ২০১৩ সালের মধ্যে তাঁরা আলাদা হয়ে যান। বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে পারস্পরিক অসঙ্গতি এবং মতপার্থক্যকেই বিবাহবিচ্ছেদের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই থেকে মহিমা তাঁর মেয়ের জন্য সিঙ্গল মাদারের ভূমিকা পালন করছেন।