সামরিক সক্ষমতা নিরন্তর বৃদ্ধির পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army)। দেশের তিন সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এবার রাজস্থানের থর মরুভূমিতে শুরু হয়েছে এক বৃহৎ পরিসরের যুদ্ধ মহড়া— যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘এক্সারসাইজ মরু জ্বালা’ (Exercise Maru Jwala)।
⚔️ ত্রি-সেবা মহড়া ‘ত্রিশূল’-এর অংশ
ভারতীয় সেনাবাহিনীর সুদর্শন চক্র কর্পসের আওতাধীন শাহবাজ ডিভিশন এই মহড়া পরিচালনা করছে। জানা গেছে, এটি চলমান ত্রি-সেবা (স্থল, নৌ, ও আকাশ) মহড়া ‘ত্রিশূল’ (Exercise Trishul)-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
মহড়ার প্রাথমিক উদ্দেশ্য:
মরুভূমির পরিবেশে সেনাবাহিনীর যুদ্ধক্ষমতা এবং যুদ্ধ প্রস্তুতি মূল্যায়ন করা।
স্থল, আকাশ, সামুদ্রিক এবং ডিজিটাল ক্ষেত্রে অপারেশনাল সিনার্জি (Operational Synergy) পরীক্ষা করা।
নতুন প্রযুক্তি ও আধুনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা ব্যবহারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান সক্ষমতা জোরদার করা।
🛰️ মানববিহীন প্ল্যাটফর্ম ও ডিজিটাল সেন্সর নেটওয়ার্ক
‘এক্সারসাইজ মরু জ্বালা’ মহড়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। এই মহড়ায় ব্যবহার করা হচ্ছে:
মানববিহীন প্ল্যাটফর্ম (Unmanned Platforms): যুদ্ধক্ষেত্রের বিভিন্ন কৌশলগত কাজে ড্রোন এবং মানববিহীন সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
নেটওয়ার্ক-ভিত্তিক ফায়ারিং সিস্টেম: দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য নেটওয়ার্ক-ভিত্তিক ফায়ারিং সিস্টেম পরীক্ষা করা হচ্ছে।
অত্যাধুনিক ডিজিটাল সেন্সর নেটওয়ার্ক: এর ফলে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতিতে রিয়েল-টাইম নজরদারি এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া সম্ভব হচ্ছে।
🎯 ‘২০২৫: সংস্কার এবং প্রযুক্তিগত স্বনির্ভরতার বছর’
থর মরুভূমির জ্বলন্ত বালিতে পরিচালিত এই মহড়াটি “২০২৫: সংস্কার এবং প্রযুক্তিগত স্বনির্ভরতার বছর” থিমের সঙ্গে যুক্ত। এই মহড়া আধুনিকীকরণ, স্বনির্ভরতা এবং যৌথ অভিযানের প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।
এই বৃহৎ মহড়া প্রমাণ করে যে ভারতীয় সেনাবাহিনী এখন কেবল প্রচলিত যুদ্ধের জন্যই নয়, ভবিষ্যতের বহু-ক্ষেত্রের যুদ্ধক্ষেত্রের (Multi-Domain Battlefield) জন্যও সম্পূর্ণ প্রস্তুত। যেখানে প্রযুক্তি, কৌশলগত দক্ষতা এবং উদ্যম— এই তিনটি আধুনিক ভারতীয় সেনাবাহিনীর নতুন পরিচয় গঠনের জন্য একত্রিত হয়েছে।