আসন্ন কালীপুজোর আগে রাজ্যের ১ লক্ষ ৭৭ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীর জন্য বড় উপহার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের এই বিপুল সংখ্যক কর্মীকে স্মার্টফোন কেনার জন্য এককালীন ১০,০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। কালীপুজোর উদ্বোধনী মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী এই ঘোষণা করেন এবং জানান, এই অর্থ সরাসরি কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো শুরু হয়েছে।
বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ১ লক্ষ ৫ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং ৭২ হাজার আশা কর্মী রয়েছেন। মোট ১ লক্ষ ৭৭ হাজার কর্মীর অ্যাকাউন্টে এই অর্থ যাবে। এই বাবদ রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে একটি বড় অঙ্কের টাকা খরচ হচ্ছে।
স্মার্টফোনে বাড়বে কাজের গতি:
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের মা ও শিশুদের কাছে আরও সুষ্ঠুভাবে এবং উন্নততর পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আধুনিক যুগে স্মার্টফোন তাঁদের কাজকে আরও সহজ ও কার্যকর করে তুলবে। তিনি বলেন, “আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ভীষণ ভালো কাজ করছেন। তাঁদের জন্য অসংখ্য মানুষ উপকৃত হন। তাঁদের কাজ আরও সহজ ও কার্যকর করতে এবার রাজ্য সরকার স্মার্টফোন কিনতে ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে।”
রাজ্য সরকারের এবারের বাজেটেও এই বাবদ ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও আশা কর্মীদের উষ্ণ অভিনন্দন ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানান।
পরিশ্রমের স্বীকৃতি:
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আমি সবসময় বিশ্বাস করি, আমাদের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও আশা কর্মীরা আমাদের শিশুদের পুষ্টি, মায়েদের স্বাস্থ্য, প্রসূতিদের দেখভালের ক্ষেত্রে নানান গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। আমি মনে করি, আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস তাঁদের সেই পরিশ্রমেরই স্বীকৃতি।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকারের এই পদক্ষেপ তাঁদের দৈনন্দিন কর্মযজ্ঞে নতুন উদ্দীপনা যোগাবে এবং শিশু ও মাতৃকল্যাণে আরও অগ্রগতি আনবে।
উল্লেখ্য, কোভিড অতিমারীর সময়ে এই আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেই সময়ও রাজ্য সরকার তাঁদের কাজের প্রশংসা করেছিল। এই আর্থিক সহায়তা সেই পরিশ্রমেরই যেন একটি সম্মান।