সারাদিনের মধ্যে আমরা অসংখ্য বার নিজেদের শরীর স্পর্শ করি। সাবধান হোন, এমন বিশেষ কিছু অঙ্গ আছে যা স্পর্শ করলে মহাবিপদ! কেননা চিকিৎসকরা বলছেন, সুস্থ স্বাভাবিক থাকতে চাইলে শরীরের বিশেষ কিছু অংশ স্পর্শ না করাই সর্বোত্তম কাজ।
চলুন জেনে নিই শরীরের কোন অংশগুলো স্পর্শ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ সে সম্পর্কে-
কানের ছিদ্র: কানের ছিদ্রের ভিতরে কোনও কিছুই প্রবিষ্ট করানো কখনওই উচিত্ নয়। ডাক্তাররা বলছেন, কানের ছিদ্রের ভিতরে যে চামড়া থাকে তা অত্যন্ত পাতলা হয়। কাজেই, আঙুল বা পেন বা পেনসিল জাতীয় কোনও কিছুই কানে প্রবেশ করালে বিপদ ঘটতে পারে। তাহলে কান চুলকোলে কী করবেন? ডাক্তাররা বলছেন, মুখ বুজে ওই অস্বস্তিটুকু সহ্য করাই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। এমনকী কান পরিষ্কার করতে হলেও ডাক্তারের দ্বারস্থ হওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
মুখ: মুখ ধোওয়া বা ত্বক চর্চার সময় মুখে হাত ছোঁওয়াতেই হবে। কিন্তু বাদবাকি অন্য সময়ে নিজের হাত দু’টিকে নিজের মুখ থেকে দূরেই রাখুন। কারণ সারাদিনের কাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন জায়গায় আমাদের হাত ছোঁওয়াতেই হয়। সেই সুবাদে হাতে লেগে যায় বিভিন্ন রকমের জীবাণু। মুখে হাত দিলে সেগুলো সঞ্চারিত হয় মুখেও। তাছাড়া আমাদের আঙুলের ডগাটি হয় তৈলাক্ত। মুখে হাত ছোঁওয়ালে সেই তেল মুখের ত্বকে লেগে যায়। এই জীবাণু এবং তৈলাক্ত উপাদান- দু’টিই মুখে ব্রণ, ফুসকুড়ি ইত্যাদির কারণ হয়।
চোখ: কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময়ে চোখে হাত লেগে যেতে পারে ঠিকই, কিন্তু চোখ চুলকানো বা চোখ পরিষ্কারের জন্য চোখে হাত দেওয়া একেবারেই অনুচিত্। কারণ এই উপায়ে হাতের জীবাণুগুলি চোখে সঞ্চারিত হওয়ার সুযোগ পায়। চোখ ধোওয়ার সময়েও জলের ঝাপটা দিন চোখে, সরাসরি চোখে হাত দেবেন না।
ঠোঁট এবং মুখের ভিতরের অংশ: ডাক্তারি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, মানবশরীর যে সব বীজাণুর দ্বারা আক্রান্ত হয় তার ১/৩ অংশই হাত থেকে মুখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। কাজেই মুখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকাই ভাল।
নাকের ভিতরে: নাকে আঙুল দেওয়াটা সামাজিকভাবে যেমন অশোভন তেমনই অস্বাস্থ্যকরও। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, স্টাফাইলোকোকাস অরিয়াস নামের ব্যাক্টেরিয়ায় যাঁরা আক্রান্ত হন তাঁদের ৫১ শতাংশেরই নাকের ভিতর আঙুল দেওয়ার অভ্যাস থাকে।
নখের ভিতরের অংশ: স্বাভাবিকভাবে নখের ভিতরের অংশ স্পর্শ করার কোনও কারণ নেই। কিন্তু নখ পরিষ্কার করার সময় নখের ভিতরের অংশ স্পর্শ করার সম্ভাবনা থাকে। সেই সময় আঙুল ব্যবহার করার পরিবর্তে নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন। এতে নখের ভিতর যে বীজাণু এবং মৃত কোষগুলি থাকে তা শরীরের অন্য অংশে সঞ্চারিত হওয়ার সুযোগ পাবে না।