অনেকের ধারণা, বেগুনের তেমন কোনো পুষ্টিগুণ নেই। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন ভিন্ন কথা। বেগুন আসলে পুষ্টিতে ভরপুর একটি সবজি, যা আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের মতো একাধিক শারীরিক সমস্যা সমাধানে বেগুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আসুন, বেগুনের কিছু অজানা গুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক:
পেটের রোগ নিরাময়ে সহায়ক:
বেগুনে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমক্ষমতাকে উন্নত করে এবং বিভিন্ন পেটের রোগের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত বেগুন খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
টক্সিন দূর করে, ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে:
বেগুন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবারে ভরপুর। এই উপাদানগুলো শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দিতে সহায়ক। এছাড়াও, বেগুনে থাকা ফাইবার কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:
বেগুনের ফাইবার শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা তাদের খাদ্যতালিকায় পরিমিত পরিমাণে বেগুন অন্তর্ভুক্ত করলে উপকার পেতে পারেন।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী:
বেগুনে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড থাকে, যা গর্ভবতী মহিলাদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং গর্ভস্থ শিশুর সঠিক বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে:
বেগুন পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-৬ এবং ফ্লেভোনয়েডের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদানে সমৃদ্ধ। এই উপাদানগুলো শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং একই সাথে হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়াতেও সহায়ক। এছাড়াও, এই উপাদানগুলো শরীরের সামগ্রিক ভারসাম্য বজায় রাখতেও সক্ষম।
অনিদ্রা দূর করতে কার্যকরী:
অনিদ্রার সমস্যা সমাধানে বেগুন বিশেষভাবে কার্যকরী বলে মনে করা হয়। তাই বেগুনের অপর নাম ‘নিদ্রালু’। যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে, তারা সন্ধ্যায় সামান্য পরিমাণে কচি বেগুন পুড়িয়ে মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে রাতে ভালো ঘুম হতে পারে।
সুতরাং, যারা এতদিন বেগুনের গুণাগুণ সম্পর্কে অবগত ছিলেন না, তারা আজ থেকেই এই পুষ্টিকর সবজিটিকে নিজেদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। বেগুনের নিয়মিত সেবন আপনার স্বাস্থ্যকে আরও উন্নত করতে সহায়ক হবে।