বিশ্বজুড়ে বর্তমানে বন্ধ্যাত্ব সমস্যা ব্যাপক আকার ধারণ করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সন্তান ধারণের চেষ্টা করার পর টানা ১ বছর সময়কাল যদি কেউ সফল না হন তাহলে তাকে ইনফার্টাইল বা সন্তান ধারণে অক্ষম হিসেবে গণ্য করা হয়।
এদিকে বাংলাদেশে কত শতাংশ দম্পতি বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগছেন, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা হতে পারে। তার মধ্যে এমন কিছু খাবার আছে যা নারীতের বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। সম্প্রতি এমনটাই জানাচ্ছে বিভিন্ন গবেষণা।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সন্তান ধারণের পর তো বটেই, মা হওয়ার পরিকল্পনা করার সময়েও খাওয়া-দাওয়া নিয়ে বিশেষ সচেতন থাকতে হবে নারীদের। এ ক্ষেত্রে ইচ্ছামতো খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসে রাশ টানা ভীষণ জরুরি। নয়তো সন্তানধারণে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা।
এবার জেনে নিন, কোন খাবারগুলো কমিয়ে দিতে পারে নারীরেদর প্রজনন ক্ষমতা।
১. পিৎজা, চিপস, কেকের মতো ট্রান্স ফ্যাট-যুক্ত খাবারগুলো খাবেন না এই সময়ে। এই ট্রান্স ফ্যাট নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই খারাপ। বিশেষ করে মাতৃত্বের সময়ে এটি একেবারেই খাওয়া উচিত না। কারণ তা নারীদের গর্ভধারণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
২. চিনি বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার এই সময়ে কম খেলেই ভালো। কারণ তা শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে সন্তানধারণের সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
৩. চা, কফি বা মদের মতো পানীয়ও এই সময়ে ত্যাগ করা উচিত। কারণ এগুলো শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি করতে পারে।
৪. কোনো রকম প্রক্রিয়াজাত খাবার, যেমন- সসেজ, বেকন, সালামি, হিমায়িত খাবার— নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই বন্ধ্যত্বের কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে কেবল ওজন বৃদ্ধিই নয়, আরো বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি থাকে।
৫. বেক করা খাবার, বিশেষ করে পেস্ট্রি, ডোনাট, কেক এবং যেসব খাবারে মার্জারিন আছে, সন্তানধারণের পরিকল্পনা করলে এমন খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।