বাঙালি নারীর সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে স্বর্ণের গয়নার বিকল্প নেই। স্বর্ণের তৈরি গয়নার প্রতি নারীর আছে বিশেষ দুর্বলতা। শুধু সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজেই নয়, অনেক সময় সম্পদ হিসেবেও কাজ করে স্বর্ণ। এই দামী ধাতু নানা সময় পুঁজি হিসেবে কাজ করে। এই দুই উপকারিতা ছাড়াও স্বর্ণের রয়েছে কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতাও। গবেষণার ফল কিন্তু এমনটাই বলছে। স্বর্ণের বিভিন্ন উপকারী বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। জেনে নিন স্বর্ণের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
স্বর্ণে আছে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য। এমন তথ্যই মিলেছে বিভিন্ন গবেষণায়। ১৯ এর দশকের শুরুর দিকে একজন চিকিৎসক এই সম্পর্কিত একটি ব্যবহারিক প্রয়োগ করেছিলেন। শরীরের ফোলাভাব ও শরীরে ব্যথা কমাতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য সবচেয়ে কার্যকরী। এভাবে নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের তাপমাত্রা। শুধু স্বর্ণে নয়, এই বৈশিষ্ট্যগুলো পাওয়া যায় তামা ধাতুতেও।
নিরাময় করে ক্ষত
শরীরের ক্ষত সারাতেও কাজ করে স্বর্ণ। ক্ষতের চিকিত্সার জন্য স্বর্ণের ব্যবহার বেশ পুরোনো। ক্ষতস্থানে স্বর্ণ প্রয়োগ করা হলে তা সংক্রমণ রোধ করে এবং দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।
ত্বকের সমস্যা দূর করে
২৪ ক্যারেট স্বর্ণ ত্বক আরও বেশি সুন্দর করে তুলতে পারে। এটি ত্বকে উষ্ণতা এবং স্নিগ্ধ কম্পন সরবরাহ করে। ফলে এটি শরীরের কোষগুলোকে পুনরায় জন্মাতে সাহায্য করে। উপকারী এই ধাতু ফুসকুড়ি, ক্ষত, একজিমা, ছত্রাকের সংক্রমণ, পোড়া ইত্যাদি ধরনের ত্বকের সমস্যা সারাতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
স্বর্ণের গয়না পরলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়ে ওঠে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এভাবেই স্বর্ণ নানা ধরনের সংক্রমণ থেকে আমাদের দূরে থাকতে সাহায্য করে।
চিকিত্সায় স্বর্ণ ব্যবহার
আকুপাংচারের মতো চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে স্বর্ণ। আকুপাংচারের চিকিত্সকরা শরীরে শক্তি প্রবাহ ছাড়তে এবং ব্যথা কমাতে স্বর্ণের টিপড সূঁচ ব্যবহার করেন। শরীরের জয়েন্টগুলোতে ব্যথা এবং ফোলা নিরাময়ে এটি বিশেষভাবে কার্যকরী।
মেনোপজের সময় উপকারী
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, স্বর্ণ তাপমাত্রার কারণে সৃষ্ট শরীরের বিভিন্ন সমস্যা যেমন শীতল হয়ে যাওয়া কিংবা হঠাৎ জ্বর এলেও সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, যেসব নারীর মেনোপজের সময় চলছে তাদের সমস্যা কমাতে পারে স্বর্ণের গহনা।