সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল কে না চায়! চুলের সঠিক পরিচর্যার জন্য আমরা কত কিছুই না ব্যবহার করি। তবে চুলের যত্নে চিরুনির ভূমিকাও কিন্তু কম নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুল ভালো রাখতে প্লাস্টিকের চিরুনির পরিবর্তে কাঠের চিরুনি ব্যবহার করা অনেক বেশি উপকারী। কাঠের চিরুনি ব্যবহারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা রয়েছে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী:
প্রাকৃতিক তেল বিতরণে সহায়ক: কাঠের চিরুনি মাথার ত্বকে থাকা প্রাকৃতিক তেল (সেবাম) চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালোভাবে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। এর ফলে চুল স্বাভাবিক মসৃণতা ও মোলায়েম ভাব বজায় রাখে। প্লাস্টিকের চিরুনি এই কাজটি ঠিকভাবে করতে পারে না।
ক্ষতিকর তাপ উৎপন্ন করে না: প্লাস্টিকের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানোর সময় ঘর্ষণের ফলে যে সামান্য তাপ উৎপন্ন হয়, তা চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এর কারণে চুল দুর্বল হয়ে ভেঙে যেতে পারে। কাঠের চিরুনিতে এই সমস্যা নেই। কাঠ প্রাকৃতিক উপাদান হওয়ায় এটি চুলকে কোনো ক্ষতি করে না।
মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখে: কাঠের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে মাথার ত্বকে জমে থাকা ধুলো-ময়লা সহজেই বেরিয়ে আসে। অন্যদিকে, প্লাস্টিকের চিরুনিতে যে স্থির বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়, তার ফলে ধুলো-ময়লা উল্টে চুলের ভেতরেই আটকে থাকার সম্ভাবনা থাকে।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে: কাঠের চিরুনি ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বকে হালকা ম্যাসাজ হয়, যা রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। উন্নত রক্ত সঞ্চালন চুলের ফলিকলকে উদ্দীপিত করে এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
খুশকির ঝুঁকি কমায়: নিয়মিত কাঠের চিরুনি ব্যবহার করে চুল আঁচড়ালে মাথার ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং মৃত কোষ দূর হয়, ফলে খুশকি হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়।
চুল ভাঙা ও ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম: কাঠের চিরুনি সাধারণত মসৃণ হয়। তাই এটি ব্যবহার করার সময় চুল আটকে যাওয়া বা টান লাগার সম্ভাবনা কম থাকে। ফলে চুল ভেঙে যাওয়া ও ছিঁড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও হ্রাস পায়।
সুতরাং, সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে আজই আপনার প্লাস্টিকের চিরুনি পরিবর্তন করে কাঠের চিরুনি ব্যবহার শুরু করুন। প্রকৃতির এই ছোট্ট উপহার আপনার চুলের অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে।
