রোদ-বৃষ্টির খামখেয়ালি আবহাওয়ায় সর্দি-কাশি এখন ঘরে ঘরে। বিশেষত এই করোনা মহামারীর সময়ে সাধারণ সর্দি-কাশিও অনেকের মনে ভয়ের সৃষ্টি করছে। বর্ষাকালে স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার কারণে অ্যালার্জির প্রকোপও বাড়ে। এমন পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকতে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলা যেতে পারে, আর এর সমাধান লুকিয়ে থাকতে পারে আপনার রান্নাঘরের পেঁয়াজেই!
আমরা সাধারণত পেঁয়াজকে রান্নার স্বাদ বাড়ানোর উপকরণ হিসেবেই চিনি। কিন্তু এটি যে সুস্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত কার্যকরী, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। নানা ধরনের অসুখের সঙ্গে লড়াই করতে পেঁয়াজ সাহায্য করে। অবাক লাগলেও সত্যি যে, ঘুমানোর সময় মোজার ভেতরে পেঁয়াজ রাখলে মিলতে পারে নানা উপকার।
ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করে
আমাদের পায়ের তলায় থাকে প্রায় ৭০০০ স্নায়ু, যা পুরো শরীরের সঙ্গে সংযুক্ত। তাই মোজার মধ্যে একটি পেঁয়াজ রেখে দিলে অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। এই পেঁয়াজ শরীরের নানা জীবাণু ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া শোষণ করে নিতে পারে। পায়ের তালুর ত্বক পাতলা হওয়ার কারণে রক্ত উপকারী ব্যাকটেরিয়া ও কেমিক্যাল সহজেই শোষণ করে নিতে পারে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই পেঁয়াজের সাহায্যে রক্ত পরিষ্কার করা সম্ভব।
সর্দি থেকে দূরে রাখে
সর্দি থেকে বাঁচতে মোজায় পেঁয়াজ ঢুকিয়ে ঘুমাতে যান। পেঁয়াজে থাকা বিভিন্ন উপাদান সর্দি থেকে সহজেই মুক্তি দিতে পারে। পেঁয়াজ গন্ধ শুষে নিতে সহায়ক। ঘুমানোর আগে মোজায় পেঁয়াজ রাখলে তা শরীরের নানা খারাপ ব্যাকটেরিয়া শোষণ করে শরীর পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
শরীর পরিশোধন করে
তবে এই পদ্ধতির জন্য অবশ্যই অর্গ্যানিক পেঁয়াজ ব্যবহার করা উচিত। কেমিক্যাল বা কীটনাশক দিয়ে উৎপন্ন পেঁয়াজ ব্যবহার করলে উল্টো ক্ষতি হতে পারে, কারণ পেঁয়াজের ক্ষতিকর কেমিক্যাল পায়ের মাধ্যমে রক্তে প্রবেশ করতে পারে।
চীনে দীর্ঘকাল ধরে পেঁয়াজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লস এঞ্জেলেসের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক লরেন ফেডার মোজার মধ্যে পেঁয়াজ রেখে ঘুমানোর উপকারিতা সম্পর্কে বলেছেন যে, এই পদ্ধতিতে সর্দি, ব্লাডারে সংক্রমণ, দাঁতে ব্যথা, কানে ব্যথা ইত্যাদি কমানো যেতে পারে। তাই, আপনিও ঘুমানোর সময় আধ টুকরো পেঁয়াজ মোজার মধ্যে রেখে উপকার পেতে পারেন।