আজকাল সম্পর্ক গড়তে যেমন সময় লাগে না, ঠিক তেমনি ভাঙতেও বেশি সময় লাগে না। একে অপরের সঙ্গে যেমন সুন্দর ও মধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে, আবার সম্পর্কে তিক্ততাও সৃষ্টি হতে পারে। যা একসময় বিচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তবে কোন কথা দিয়ে সেই সম্পর্কের ইতি টানা হবে, সে চিন্তা অনেকের মনেই ঘুরপাক খায়। শেষের সেই কথাগুলোই থেকে যায় অনেক দিন। যা কষ্টের কারণ হয়ে ওঠে অনেকের জীবনেই। ফলে সম্পর্ক ভাঙার বিষয়ে কিছুটা সচেতন হওয়া প্রয়োজন। যাতে বিচ্ছেদ ঘটানো যায় মসৃণভাবে।
বিচ্ছেদে আবার বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখানো যাবে কী ভাবে? এ কথা মনে আসতে পারে অনেকের। কিন্তু কারও সঙ্গে পথ চলা বন্ধ করা মানেই যে তাতে জটিলতা তৈরি করতে হবে, এমন তো নয়। নির্ঝঞ্ঝাট দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করা যেতেই পারে। কীভাবে করবেন? চলুন জেনে নেয়া যাক-
>> একটি সম্পর্কের ভাঙার সময় তখনই আসে, যখন তার মধ্যে কিছু খারাপ লাগার মতো অভিজ্ঞতা জমেছে। কিন্তু সম্পর্ক ভাঙার সময়ে অন্যের উপরে সেই দায় চাপানোর চেষ্টা না করাই শ্রেয়। সম্পর্কে দু’জনের দায়িত্বই সমান।
>> কোন কথা বলবেন, তা সাবধানে বাছতে হবে। প্রেম ভাঙার সময়ে অনেক ধরনের অনুভূতি কাজ করে। ফলে খারাপ কথা বেরিয়ে আসার প্রবণতা দেখা দেয়। কিন্তু দু’টি খারাপ শব্দের ক্ষতির পরিমাণ অনেক। তাই সাবধানে শব্দ প্রয়োগ করা জরুরি।
>> সম্পর্ক সবসময় দু’জনের ইচ্ছায় ভাঙে না। মূলত একজন সরে যেতে চান। অন্যজন তখন বাধ্য হন পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। যিনি উদ্যোগী হচ্ছেন সম্পর্ক ভাঙতে, তার দায়িত্ব বেশি। কেন নতুন পথ বেছে নিচ্ছেন, অন্যজনকে তা বুঝিয়ে বলা দরকার।