বিরিয়ানি বা পোলাওয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ এই তেজপাতা। এর সুবাস ছাড়া রান্নার কথা ভাবাই কঠিন। কিন্তু তেজপাতা শুধু রান্নার স্বাদ বাড়াতেই নয়, এর রয়েছে আশ্চর্য সব ঔষধি গুণ, যা এটিকে বিশ্বের বহু দেশে জনপ্রিয় করে তুলেছে। খাবারের পাশাপাশি বহু রোগের প্রতিষেধক হিসেবেও তেজপাতা ব্যবহৃত হয়।
জেনে নিন, তেজপাতা কোন কোন রোগের চিকিৎসায় কার্যকর ভূমিকা রাখে:
১. ঠান্ডা-কাশিতে মহৌষধ
ঠান্ডাজনিত যেকোনো রোগ, ফ্লু এবং অন্যান্য সংক্রমণ রোধে তেজপাতা দারুণভাবে কাজ করে। যদি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হয়, তাহলে দু-তিনটি তেজপাতা জলে দিয়ে ১০ মিনিট গরম করুন। এই জলে ভেজানো একটি পরিষ্কার কাপড় বুকের ওপর রাখলে ফ্লু, ঠান্ডা ও কাশি থেকে আরাম পাওয়া যায়। এমনকি জ্বর কমাতেও তেজপাতা সহায়তা করে।
২. বদহজমের সমস্যায় সমাধান
তেজপাতা হজমক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য করে এবং হজমের যেকোনো সমস্যা সারিয়ে তোলে। যদি বুক জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হয়, তাহলে তেজপাতা দিয়ে গরম করা এক গ্লাস জল পান করলে স্বস্তি পাবেন।
৩. ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াই
টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় তেজপাতার কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তেজপাতা রক্তে শর্করা বা চিনি, কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। সবচেয়ে ভালো ফল পেতে তেজপাতা গুঁড়ো করে টানা এক মাস সেবন করতে পারেন। তেজপাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হৃৎপিণ্ডের কার্যক্রম ভালো রাখে।
৪. ব্যথা উপশমে কার্যকর
তেজপাতার তেল বাতের ব্যথা, মচকানো, কোনো কিছুর চাপ লেগে আঘাতপ্রাপ্ত স্থান বা যেকোনো সাধারণ বা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা উপশম করতে পারে। মাইগ্রেন ও মাথাব্যথার ক্ষেত্রে কপালে তেজপাতার তেল মালিশ করলে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।
৫. হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধে
তেজপাতায় এমন সব ভেষজ উপাদান রয়েছে, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে হৃৎপিণ্ডকে সুরক্ষিত রাখে। এটি হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতাও বাড়াতে সাহায্য করে।