দুর্ঘটনা, রান্না কিংবা যে কোনোভাবেই আগুনে দগ্ধ হতে পারেন আপনি। ঘরে ফাস্টএইড না থাকলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগ পর্যন্ত যে পরিমাণ জ্বালা-পোড়া সহ্য করতে হয়, সেটা অনেক কষ্টের। তাই তাৎক্ষণিক জ্বালা-পোড়া কমানোর জন্য শিখে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়।
অ্যালোভেরা:
পুড়ে যাওয়া স্থানে অ্যালোভেরার জল লাগান। জ্বালা-পোড়া কমে যাবে এবং ঠাণ্ডা অনুভব হবে। অ্যালোভেরার রস ক্ষত শুকাতে অসাধারণ কাজ করে।
দই:
দই বা কাঁচা দুধ ক্ষতের জ্বালা-পোড়া দ্রুত কমিয়ে দেয়। পুড়ে যাওয়া জায়গায় ৩০-৪০ মিনিট দই দিয়ে রাখুন। এতে জ্বালা-পোড়া তো কমবেই, ফোসকা না পড়াতে সাহায্য করবে।
মধু:
মধু এন্টিসেপটিক হিসেবে দারুণ কাজ করে। পুড়ে যাওয়ার সাথে সাথে মধু লাগাতে পারলে জ্বালা-পোড়া অনেক কমে যাবে। সঙ্গে পোড়া দাগও হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
টুথপেস্ট:
টুথপেস্ট শুধু দাঁত মাজার ক্ষেত্রেই ব্যবহার হয় না। পুড়ে যাওয়া স্থানে টুথপেস্ট লাগালে উপকার পাবেন শতভাগ।
কলার খোসা:
কলার খোসা জ্বালা-পোড়া কমাতে খুবই উপকারি। পুড়ে যাওয়া স্থানে কলার খোসা এন্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে।
অলিভ অয়েল:
অলিভ অয়েলও পোড়া ঘায়ের জন্য বেশ উপকারি। পোড়া ঘা শুকানোর সময় চামড়া টানটান করে, এ সময় অলিভ অয়েল দিলে চামড়া মসৃণ থাকে। কষ্ট কম হয়। চাইলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারবেন।
ভিনেগার:
পুড়ে যাওয়া জায়গায় ভিনেগার লাগিয়ে দিন। ভিনেগারের অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ও অ্যান্টিসেপ্টিক গুণাগুণ পুড়ে যাওয়া জায়গার জ্বালা-পোড়া কমাবে। এছাড়া ভিনেগারের সঙ্গে সম পরিমাণে জল মিশিয়ে ক্ষত স্থানটি ধুয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ব্যথা কমিয়ে দেবে এবং ত্বকে কিছুটা স্বস্তি মিলবে।
টি ব্যাগ:
পোড়া অংশে টি-ব্যাগও ব্যবহারও করতে পারেন। চা পাতায় ট্যানিক এসিড থাকে যা ত্বককে শীতল করে। তাই পোড়া স্থানে ভেজা ঠাণ্ডা টি ব্যাগ ব্যবহার করলে ত্বকের জ্বালা ভাব ও অস্বস্তি কমে যায়।