আমাদের প্রধান খাদ্যই হলো ভাত। যে কারণে ভাত ছাড়া একটি দিনও পার করা প্রায় অসম্ভব। ব্যস্ত সময়ে সহজে ভাত রান্না করার জন্য রাইস কুকারের ওপর নির্ভরশীল অনেকে। কারো কারো ধারণা হলো, রাইস কুকারে কেবল ভাতই রান্না করা যায়। ব্যাপারটি কিন্তু মোটেও তেমন নয়। বরং এতে ভাত ছাড়াও আরও অনেক ধরনের রান্না সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক, রাইস কুকারে ভাত ছাড়া আরও কী কী খাবার রান্না করা যায়-
রাইস কুকারে সুস্বাদু কেক
কেক খেতে ভালোবাসেন? কেক তৈরি করে নিতে পারেন বাড়িতেই। আর সেজন্য ব্যবহার করতে পারেন রাইস কুকার। রাইস কুকারে কেক তৈরির জন্য প্রথমে কেকের ব্যাটার তৈরি করে নিন। এরপর কুকারের প্যানে তেল ব্রাশ করে নিতে হবে। এবার কুকার অন করে তাতে কেকের ব্যাটার দিন। পরিমাণের ওপর নির্ভর করবে কেক হতে কতটুকু সময় লাগবে।
ঝরঝরে পোলাও রান্না করুন
পোলাও ঝরঝরে করতে চাইলে রান্না করতে পারেন রাইস কুকারে। কুকারের ঢাকনা খুলে রেখে তাতে প্যানে তেল দিয়ে সুইচ অন করে দিন। তেল গরম হলে তাতে প্রয়োজনীয় মশলা দিয়ে ভেজে নিন। এরপর চাল দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভাজুন। পরিমাণমতো জল দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন। পোলাও হয়ে এলে কুকারের হলুদ বাতি অন করুন।
খুব সহজেই ডিমের অমলেট
রাইস কুকারে খুব সহজেই ডিমের অমলেট তৈরি করা যায়। ডিমের সঙ্গে স্বাদমতো সবজি, পেঁয়াজ কুচি, মশলা ইত্যাদি মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর রাইস কুকারে তেল দিয়ে ডিমের মিশ্রণ ঢেলে ঢাকনা বন্ধ করে সুইচ অন করে দিতে হবে। পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করলেই সুস্বাদু অমলেট তৈরি।
সবজি সেদ্ধ করা যায়
রাইস কুকারে সহজেই সবজি সেদ্ধ করা যায়। বেশিরভাগ রাইস কুকারেই স্টিমার দেয়া থাকে। সবজি সেদ্ধ করার জন্য জল গরম করে স্টিম করার পাত্রে সবজি দিয়ে কুকার অন করুন। সবজির ধরন অনুযায়ী সেদ্ধ হওয়ার সময় নির্ভর করে।
রাইস কুকারেই মুরগির রোস্ট
চাইলে মুরগির রোস্টও তৈরি করতে পারেন রাইস কুকারে। প্রথমে প্রয়োজনীয় সব উপকরণ মেখে মিনিট ত্রিশেক রেখে দিন। এরপর সামান্য জল দিয়ে রাইস কুকারে রান্না করে নিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে হলুদ বাতি অন করে দিন। এরপর মাঝেমাঝে উল্টে দিন। ভাজা ভাজা হয়ে এলে কুকার বন্ধ করে দিন।
যেকোনো তরকারি রান্না
প্রয়োজনে সবজি, মাংস ইত্যাদিও রান্না করতে পারবেন রাইস কুকারে। তবে তরকারি রান্না করতে চাইলে ঝোলের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাংস বা সবজি সেদ্ধ হওয়ার পরে যতটুকু ঝোল খেতে চান ততটুকু রেখেই কুকার বন্ধ করে দিন।