নিজেদের শারীরিক সমস্যাগুলোকে মেয়েরাই বেশি অবহেলা করে। ও কিছু নয়, এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে- এমন ধারণা নিয়ে দিন পার করে দেয়। ছোটখাটো অসুখ হলে তা এমনিতেই সেরে যায় বটে, তবে আপাতদৃষ্টিতে ক্ষুদ্র কোনো সমস্যার মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে বড় কোনো অসুখ। তাই এমনকিছু লক্ষণ রয়েছে যা দেখা দিলে সংকোচ না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি-
* মাসিক ঋতুচক্রে অতিরিক্ত রক্তপাত।
* ঋতুচক্রে অত্যন্ত কম রক্তপাত।
* তলপেটে ভারীভাব অনুভূত হওয়া।
* প্রস্রাবের সময় অস্বস্তি বা জ্বালাভাব।
* ছয়মাস বা তার বেশি সময় ধরে স্বাভাবিকভাবে চেষ্টা করা সত্ত্বেও গর্ভধারণ না হওয়া।
* ডিসমেনোরিয়া হচ্ছে (পিরিয়ডের সময় অস্বস্তি/ পেটব্যথা) এবং যত দিন যাচ্ছে সেটা ক্রমশ বাড়ছে।
* মলত্যাগের সময় যন্ত্রণার অনুভূতি।
* যৌনাঙ্গ থেকে কোনো ক্ষরণ হচ্ছে এবং তার একটা তীব্র গন্ধ আছে।
* স্তনে কোনো লাম্প হলে।
* তলপেটে ফোলাভাব দেখা দিলে।
চিকিৎসকদের মতে, শহরের নারীরা সাধারণত অনিয়মিত ঋতুচক্র বা ঋতুকালীন সমস্যায় বেশি ভোগেন। এছাড়া সাদা স্রাব, বন্ধ্যাত্ব বা তলপেটে ভারীভাবের সমস্যাগুলোও থাকে। শরীর স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে গেলেই ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করে নিন, কারণ ঋতুচক্র সংক্রান্ত কিছু সমস্যা কিন্তু কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে বা জীবনযাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনলে বা ওজন কমালেই সামলানো যায়।