মানুষের হাঁটার ধরণ দেখে তাদের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেক কিছু অনুমান করা যেতে পারে, এমন ধারণা বহু পুরনো। কে কতটা দ্রুত হাঁটেন বা কার হাঁটার মধ্যে অস্বাভাবিক চঞ্চলতা দেখা যায়, তা পর্যবেক্ষণ করে তাদের সম্পর্কে একটা প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যেতে পারে। এমনটাই মনে করতেন জার্মান মনোবিদ ওয়ার্নার উলফ। ১৯৩৫ সালে তিনি একটি তত্ত্বে এই বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। যদিও এই তত্ত্বের সত্যতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে এবং এ নিয়ে বিতর্কও কম নয়। তবে এই তত্ত্বের যারা সমর্থক, তারা বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন। আসুন, মিলিয়ে দেখা যাক আপনার বা আপনার পরিচিত কারও সঙ্গে সেগুলো মেলে কিনা।
১. যারা দ্রুত গতিতে হাঁটেন: যদি কেউ খুব দ্রুত গতিতে হাঁটেন, তবে তাদের হাঁটার কৌশল সাধারণত পরিশ্রমী এবং বহির্মুখী ব্যক্তিত্বের পরিচয় দেয়। এই ধরনের মানুষ সাহসী এবং উদ্যোগী হন। কেউ কেউ এমনও দাবি করেন যে তারা উদ্যমী এবং চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করতে ভালোবাসেন।
২. যারা ধীর গতিতে হাঁটেন: বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, যারা ধীরে ধীরে হাঁটেন, তারা সাধারণত সতর্ক এবং সাবধানী প্রকৃতির হন। তাদের ব্যক্তিত্বের ধরন অন্তর্মুখী এবং আত্মকেন্দ্রিকও হতে পারে।
৩. যারা তাড়াহুড়ো ছাড়াই হাঁটেন: এমন অনেকেই আছেন যারা নিজের খেয়ালে হাঁটেন। তাদের হাঁটার মধ্যে কিছুটা অন্যমনস্ক বা বেখেয়ালী ভাব দেখা যেতে পারে। মোটের উপর, এই ধরনের মানুষ নিজের স্বচ্ছন্দ্যে হাঁটতে পছন্দ করেন। তারা সাধারণত শান্ত, সন্তুষ্ট এবং আত্মবিশ্বাসী হন। এমন ব্যক্তিরা অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এবং তাদের কথাবার্তা বা দৃষ্টিভঙ্গি শুনতে আগ্রহী হন বলেও দাবি করা হয়।
তবে এই বিষয়ে আরও অনেক গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। তাই এই বৈশিষ্ট্যগুলোকে একেবারে ধ্রুব সত্য ধরে নেওয়ার অবকাশ নেই বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।